যশোরে একটি চক্রের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে কুয়েতে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের একজন মো. আলী জিন্নাহ গত রোববার আদালতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। একই সাথে আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে আদেশ দেন।আসামিরা হচ্ছেন-ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন, যশোর শহরের পুরাতন কসবা লিচু বাগান এলাকার জনৈক আজিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া সিএনজি চালক মো. বাবুর ছেলে শাকিল, পুলিশ লাইন এলাকার রুম্মান ও উপশহর ১ নম্বর সেক্টর এলাকার মৃত মোকাররম গাজীর ছেলে সেলিম।
বাঘারপাড়া উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মো. জুলফিকার আলীর ছেলে বর্তমানে যশোর উপশহর ১ নম্বর সেক্টর এলাকায় বাসিন্দা মো. আলী জিন্নাহর অভিযোগ, আসামি জাকির তার পূর্ব পরিচিত। এরই সূত্র ধরে আসামি জাকির তাকে ও ১৩ জন আত্মীয়কে ভালো বেতনে কুয়েতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। শর্ত ছিলো কুয়েতে পাঠানোর পর তিনি বাদীর কাছ থেকে বাকি ৫৬ লাখ গ্রহণ করবেন। কিন্তু বাদীসহ ১৪ জনকে কুয়েতে পাঠাতে ব্যর্থ হন জাকির। ফলে একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনটি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করেন যে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় টাকা বাদীকে পরিশোধ করবেন। কিন্তু তিনি তারপরও টাকা পরিশোধ করেননি। তালবাহনার এক পর্যায়ে জাকিরসহ অন্য আসামিরা টাকা পরিশোধের কথা বলে গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে বাদীকে ৪ নম্বর আসামি সেলিমের বিরামপুর গাবতলার অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে বাদী পাওনা টাকা দাবি করলে আসামিরা দিতে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে আসামি জাকিরের লিখিত অঙ্গীকার করা স্ট্যাম্প কেড়ে নেন।
রাতদিন নিউজ: