Tuesday, May 21, 2024

জবাবদিহিতায় আসছে ৩ হাজার সার ব্যবসায়ী

- Advertisement -

কঠোর তদারকির আওতায় আসছে যশোরের তিন হাজারের বেশি সার ব্যবসায়ী। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই তদারকির উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এই উদ্যোগের ফলে দীর্ঘদিন পর জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন সার ব্যবসায়ীরা। কেবল জবাবদিহিতা না, পাশাপাশি উপকৃত হবেন চাষিরাও।কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, যশোরে তিন হাজারের বেশি সার ব্যবসায়ী রয়েছেন। এরমধ্যে একশ’ ৫০ জন রয়েছেন বিসিআইসি সার ডিলার। এছাড়া, এক হাজার তিনশ’ ৫০ জন সাবডিলার, চারশ’ ৫০ জন কমিশন এজেন্ট ও এক হাজার তিনশ’ জনের মতো খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উল্লেখিত সার ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো জবাবদিহিতা নেই। নেই কোনো লাইসেন্সও। এ কারণে তারা ইচ্ছেমতো সার বিক্রি করে আসছেন। বিসিআইসি ডিলারশিপ পেতে দু’ লাখ টাকা জামানত দেওয়া লাগে। এই জামানত দিয়ে তারা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে আসছেন। সাবডিলারদের জামানত ৩০ হাজার টাকা অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ বিসিআইসি সার ডিলার তাদের জন্যে নির্ধারিত জায়গায় সার না এনে বাইরে বিক্রি করে দেন। এরপর সার নেই উল্লেখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে বেশি দামে সাবডিলারদের কাছে বিক্রি করেন। সাবডিলাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। সর্বশেষ, খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাষিকে বেশি দামে সার কিনতে হয়। অথচ কৃষকের ভর্তুকি মূল্যে সার পাওয়ার কথা।কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সার বিক্রেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হচ্ছে কৃষকের স্বার্থে। জবাবদিহিতা না থাকায় সরকারের ভর্তুকি মূল্য জলে যাচ্ছে। অধিদপ্তরের পক্ষে জেলা বাজার কর্মকর্তা ইতিমধ্যে যশোরের বিসিআইসি ডিলারসহ বিভিন্ন সার ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স গ্রহণ করার জন্যে নোটিশ দিয়েছেন। যার স্মারক নম্বর ১২.০২.৪০৪১.২০৩.০৭.০০১.১৮-৫৬১(৭)। ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত হারের অধিক মুনাফা গ্রহণ করা যাবে না। কেনা এবং বিক্রি মূল্য প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শন, কেনা পণ্যের মূল রশিদ প্রদান বা সংরক্ষণ করাসহ সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে হবে। প্রত্যেক সার বিক্রেতাকে লাইসেন্স গ্রহণ করতেই হবে।নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো রকম নিয়মনীতি না মেনে যত্রতত্র ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি সারসহ কৃষি উপকরণ অধিক মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত আটশ’ টাকার পরিবর্তে আটশ’ ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে ডিএপি সারও অধিক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব কারণে সার কেনার উৎস এবং ক্রয় রশিদ যাচাই করা একান্ত প্রয়োজন। সার ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে যশোরে কোনো সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম অভিযান। কেবল অভিযানে সীমাবদ্ধ নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এরইমধ্যে একজন বিসিআইসি সারডিলারকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর লাইসেন্স প্রদান করেছে। পর্যায়ক্রমে সকল সার ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স গ্রহণে বাধ্য করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন। এ বিষয়ে যশোর জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, এতদিন সার বিক্রেতারা যথাযথ তদারকির মধ্যে ছিলেন না। ফলে, তারা যাচ্ছেতাই কারবার করেছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। তারা ভর্তুকি মূল্যে সার কিনতে পারছেন না। এসব অনিয়ম দূর করতে বিক্রেতাদের লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাতদিন নিউজঃ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত