যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের অগ্নিদগ্ধ শিশু আল-আমিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।শনিবার দুপুরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আল-আমিনের নানা বাড়ি সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই হাফিজুর রহমান। আল-আমিনের বাবা বাঁকড়ার মৃত খলিল সরদারের ছেলে দাউদ হাজি ও তার নানির মধ্যে মামলা চলছে।এরমধ্যে গত ৭ অক্টোবর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় নানি বাড়িতে রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধের শিকার হয় শিশু আল-আমিন। রাতেই তাকে পরিবারের লোকজন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয় শিশুটিকে। কিছুটা সুস্থ হলে ১৮ অক্টোবর শিশুটির নানি সাকিরন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শুক্রবার বিকেলে শিশুটি মারা যায়। শিশুটির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।গ্রামবাসী বলছে, ঘটনার দিন আল-আমিন ও সাকিরন একই স্থানে ঘুমিয়ে ছিল। এরমধ্যে আল-আমিন অগ্নিদগ্ধ হয় আর নানি সাকিরনের সেই আগুনের ন্যূনতম আঁচ লাগেনি! এটি রীতিমতো সন্দেহের। ফলে, অভিযোগের তীর নানি সাকিরনের দিকেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, আল-আমিন নামে ওই শিশুটি জন্মের পর অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ২০১৫ সালে সাকিরনের করা মামলায় দাউদ হাজি আট মাস ও তার স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে রোকেয়া খাতুন ২৩ দিন জেল খাটেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ধাবক ও ইউপি সদস্য মহসিন আলীর মাধ্যমে ছয় লাখ টাকায় মীমাংসা হয় ওই মামলা।
রাতদিন নিউজ