Monday, May 13, 2024

যেভাবে হত্যা করা হয় শিশু মারিয়ার পুরো পরিবারকে

- Advertisement -

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ছয় মাস বয়সী শিশু মারিয়ার পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও তোয়ালে।বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি ওমর ফারুক।তিনি জানান, হত্যার দায় স্বীকার করেছে শিশু মারিয়ার চাচা রায়হানুল ইসলাম। গ্রেফতারের পর আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ভাই-ভাবিসহ চারজনকে হত্যার কারণ ও কীভাবে হত্যা করা হয়েছে- তা জানিয়েছে ,রায়হানুল বর্তমানে বেকার। এ কারণে ৯-১০ মাস আগে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। সেই থেকে সে বড় ভাই শাহিনুলের পরিবারের সঙ্গে থাকতো, সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করতো। কিন্তু বেকার হওয়ায় খাবার নিয়ে তার ভাবি সাবিনা খাতুন প্রায়ই তাকে খোঁটা দিতো। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভাবিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় রায়হান।১৪ অক্টোবর রাতে ফার্মেসি থেকে ঘুুমের ওষুধ ও স্পিড (কোমল পানীয়) কিনে আনে। এরপর ভাবি ও ভাতিজা-ভাতিজিকে খাওয়ায়। ওই রাতে রায়হানুল টিভিতে আইপিএল খেলা দেখছিলো। এ সময় শাহিনুল তাকে বকাঝকা করে বলেন- তুই বিদ্যুৎ বিল দিস? টিভি দেখছিস কেন?। এরপর সে ভাইকে বলে- এ মাসের বিদ্যুৎ বিল আমি দেব, তুমি স্পিড খাও।সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর রায়হান চিলেকোঠা দিয়ে বড় ভাইয়ের ঘরে ঢুকে প্রথমে ঘুমন্ত ভাইকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে পাশের ঘরে থাকা ভাবিকেও একইভাবে হত্যা করে। ওই সময় ভাবি চিৎকার দিলে ভাতিজা-ভাতিজি উঠে যায়। তখন বাধ্য হয়ে তাদের হত্যা করে রায়হান। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি ওমর ফারুক জানান, রায়হানুলের দেয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধ্যানও মিলেছে। বুধবার তাকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ির পাশের পুকুর থেকে চাপাতি ও তোয়ালে উদ্ধার করা হয়েছে।

রাতদিন নিউজঃ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত