Sunday, May 12, 2024

যশোরে এহসান এস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবার একদিনে আট মামলা

- Advertisement -

এহসান এস বাংলাদেশ যশোরের আটজন গ্রাহক এবার একদিনে আদালতে পৃথক আটটি মামলা করেছেন। সংস্থাটি তাদের কাছ থেকে ৬২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রতারণা করে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আট বাদী। মামলায় চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, জিএম, পরিচালকসহ ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার সাহিদা বেগম, চাঁচড়া রাজা বরদাকান্ত রোডের মাসুদ মিয়া, সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের নাহার খাতুন, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল মতিন, শাখারীগাতির আব্দুল জলিল, বালিয়ার আনোয়ারা বেগম ও রূপদিয়া কয়লাপট্টির নুর ইসলাম মিয়া বাদী হয়ে পৃথক এই আটটি মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগ গুলো আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সংস্থার চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম পটিয়া দক্ষিণ গোবিন্দদারখিল আল জামিরিয়ার প্রিন্সিপ্যাল মুফতি আবু তাহের নাদভী, সংস্থার প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক মাগুরা সদর উপজেলার সাজিয়ারার কাজী রবিউল ইসলাম, জিএম মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জুনায়েদ আলী, পরিচালক মাগুরা সদর উপজেলার রাউতলা গ্রামের আজিজুর রহমান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার লক্ষীধরদিয়াড় গ্রামের মঈনউদ্দীন, খুলনার লবণচরার হরিণটানা রিয়াবাজারের মুফতি গোলাম রহমান, গাজীপুর টঙ্গী খাঁপাড়া সৌদী মসজিদের পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) টঙ্গী ঘুরুলিয়া এহসান সিটির আমিনুল হক, চট্টগ্রাম শহরের জামানকান রোডের কলিমউল্লাহ কলি, পরিচালক ঢাকার তুরাগ থানার নিশাতনগরের মিরাজুর রহমান, খুলনার খানজাহান আলী থানার শিরোমণির মিজানুর রহমান, যশোর সদর উপজেলার রামনগরের মুফতি মুহাম্মদ ইউনুস আহম্মেদ, খুলনার পাইকগাছার সরল গ্রামের মনিরুল ইসলাম, মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী, যশোরের বাঘারপাড়ার ধান্যপাড়ার সামসুজ্জামান টিটু, যশোর শাখার ম্যানেজার মাগুরা সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আতাউল্লাহ, কেশবপুরের বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হালিম, মাঠকর্মী যশোর শহরের কারবালা রোডের সিরাজুল ইসলাম সোনামিয়া, এফও কমিটির সভাপতি নতুন উপশহরের এ বøকের ৪৭ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা বাঘারপাড়ার খোর্দ বনগ্রামের শামছুর রহমান, এফও কমিটির সেক্রেটারি শেখহাটি জামরুলতলা তারা মসজিদ এলাকার বাবর আলী, সংস্থার প্রচার সম্পাদক জামরুলতলার আব্দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আরবপুর বিমানবন্দর রোডের এসএম সেলিমউল চৌধুরী, এফও অর্থ সম্পাদক মাছ বাজার রোডের খাদেম মোকছেদ আলী, এফও কমিটির সাবেক সেক্রেটারি যশোর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের মুফতি ফোরকান আহম্মেদ, উপশহর ই-বøকের আক্তারুজ্জামান, পুলিশ লাইন টালি খোলার মোহাম্মদ আলী ও বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের হাফেজ কামরুল।
এসব মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা আসামিরা যশোরে এহসান এস বাংলাদেশ কোম্পানির শাখা খুলে লোক নিয়োগ করে। এরপর বিভিন্ন লোকজনকে অধিক মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগ করতে প্রলুব্ধ করে। তাদের কথায় বিশ্বাস করে কয়েক দফায় নাহার খাতুন তিন লাখ, সাহিদা বেগম ১৬ লাখ ৫০ হাজার, মাসুদ মিয়া ১১ লাখ ৫০ হাজার, শফিকুল ইসলাম চার লাখ, আব্দুল মতিন পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার, আব্দুল জলিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার, আনোয়ারা বেগম পাঁচ লাখ ও নুর ইসলাম মিয়া তিন লাখ টাকা এহসান এসে আমানত রাখেন। এহসান শর্ত অনুযায়ী কয়েক মাস লভ্যাংশ প্রদান করে। এরপর লভ্যাংশ দেওযা বন্ধ করে দেয়। তখন বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা করতে থাকে। এ কারণে শেষ পর্যন্ত তারা মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত