সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালট বাক্স পৌছে প্রতিটি কেন্দ্রে কিন্তু কারচুপি বন্ধে এবার নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে নেওয়া হবে। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভোটের মাধ্যমে সদর উপজেলাবাসী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে অভিভাবক নির্বাচিত করবেন ।
কঠোর নিরাপত্তা, উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজে যশোর সদর উপজেলার উপনির্বাচনের ভোটের লড়াই মঙ্গলবার।ভোটের মাধ্যমে উপজেলার পাঁচ লাখ ৬০ হাজার পাঁচশ ২৫ ভোটার বাছাই করবেন তাদের অভিভাবক। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, যশোর সদরের একশ’ ৭৫টি কেন্দ্রে সকালে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার। এর মধ্যে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে একশ’ ৪৮টি। এক হাজার চারশ’ ৮৮টি ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পৌঁছে গেছে । একশ’ ৭৫ প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার তিনশ’১৩ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, দু’ হাজার ছয়শ’ ২৬ পোলিং এজেন্ট ও পাঁচ লাখ ৬০ হাজার পাঁচশ ২৫ ভোটারের জন্যে মাঠে থাকবে ১১ ম্যাজিস্ট্রেট, দেড় হাজার পুলিশ, দু’হাজার আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে ভোটের মাঠে। ভোট গ্রহনে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিরাপদ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।
এর আগে ৪ অক্টোবর প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাাম নীরা ও ধানের শীষ প্রার্থী মোহাম্মদ নুর-উন-নবী। টানা ১৫ দিন গণসংযোগের পর গত রোববার রাত ১২টায় শেষ হয় প্রচারণা। আধুনিক উপজেলা গড়ার অঙ্গীকার করে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা। অন্যদিকে, মানুষের অধিকার ফিরে পেতে ও গণতন্ত্রের মুক্তির লক্ষে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ নুর-উন-নবী। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার পরই বুঝা যাবে কে হচ্ছেন সদর উপজেলার অভিভাবক।
রায়হান উদ্দীন