Tuesday, May 21, 2024

৬ মন কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যাবসায়ী

- Advertisement -

অসহায়ের সহায় হয়ে দরিদ্র সবজি বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম খবির নিজেই এখন অসহায়। দরিদ্র ঘরে জমেছে এক টাকার কয়েনের পাহাড়। গচ্ছিত কয়েনের ওজন প্রায় ৬ মণ। টাকার অংকে প্রায় ৬০ হাজার। এই মোটা অংকের অর্থ কোনো উপকারেই আসছেনা তার। দরিদ্র ভিক্ষুকদের হাত পেতে আনা এক টাকার কয়েন অন্য ব্যবসায়ীরা না নিলেও মানবিকতার কারণে কাউকেই ফিরিয়ে দেননি এই সবজি বিক্রেতা। এক টাকার কয়েন নিয়েই তিনি সবজি বিক্রি করেছেন। মানবিকতায় উপকার করে তিনিই এখন বিপদে।খাইরুল ইসলাম খবির মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত জহুর ফকিরের ছেলে। মহম্মদপুর বাজারেই তিনি সবজি বিক্রি করেন।শুক্রবার সকালে খাইরুল ইসলাম খবিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বস্তা ও বালতিভর্তি এক টাকার কয়েন। তিনি তার স্ত্রী ও ছেলে ঘরের মেঝেতে সব কয়েন ঢেলে দেখান। এরপর ওজন করা হয়। প্রায় ৬ মণ। ওজনের পর আটটি বালতিতে তোলা হয়। এক বালতির কয়েন গণনা করা হয়। সেখানে পাওয়া যায় সাড়ে সাত হাজার টাকারও বেশি। সে হিসেবে আটটি বালতিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা হবে।খাইরুল ইসলাম খবির বলেন, ২৫ বছর ধরে সবজি বিক্রি করছেন। গত ১০ বছরে কয়েনগুলো জমেছে। বাজারের অন্যকোনো ব্যবসায়ী এক টাকার কয়েন নিতেন না। তিনি মানবিক কারণে কয়েনের বিনিময়ে সবজি বিক্রি করতেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গ্রামের দরিদ্র ভিক্ষুকরা মানুষের দূয়ারে দূয়ারে ঘুরে সাহায্য হিসেবে এক টাকার কয়েন যা পেতেন তা দিয়ে আমার কাছে সবজি কিনতে আসলে আমি কাউকেই ফিরিয়ে দেইনি। ফিরিয়ে দিলে কষ্ট পাবেন; এটা ভেবে কয়েন নিয়েই তাদেরকে সবজি দিয়েছি। তারা খুব খুশি হয়েছেন। তাদের খুশিটাকে বড়ো করে দেখেছি। এভাবে উপকার করতে গিয়ে আমার পূঁজি আটকে গেছে’।খাইরুল ইসলাম খবিরের পরিবারে স্ত্রী, সন্তানসহ সদস্য সংখ্যা চার। দরিদ্র পরিবার। ছোট পরিসরে সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। কিন্তু ছয় মণ ওজনের এক টাকার প্রায় ৬০ হাজার টাকা ঘরে অলসভাবে পড়ে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। কারণ এই কয়েনগুলো কেউ নিচ্ছে না। স্থানীয় ব্যাংকগুলোও তার কয়েনগুলো বদলে দিচ্ছে না বলে জানান। তিনি কয়েনগুলো বদলে টাকা পাওয়ার জন্যে ব্যাংকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃস্টি কামনা করেছেন।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত