Tuesday, May 14, 2024

ঝিনাইদহের মহেশপুর এখন সোহানী খাঁন বুলবুলির জিম্মায়

- Advertisement -

এলাকাবাসীর প্রশ্ন তার ক্ষমতার খুটির জোর কোথায়? ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পুরন্দপুর গ্রামে এক নারীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।তিনি না কী ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের ওপর নানা অত্যাচার চালাচ্ছেন। এমনকী একের পর এক মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অসহায় এলাকাবাসী জেনিয়া সোহানী খাঁন বুলবুলি নামের ওই নারীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করেছেন। তার বিরুদ্ধে হয়েছে নারী-পুরুষের মানববন্ধনও। তার পরও থেমে নেই বুলবুলির অত্যাচার। এলাবাকাসীর কাছ থেকে অভিযোগে জানাগেছে, জেনিয়া সোহানী খাঁন বুলবুলি পুরন্দপুর গ্রামের শফিউদ্দিন খান ওরফে মন্টু মাওলানার মেয়ে। তিনি একের পর এক এলাকার মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। এক্ষেত্রে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। এ পরিচয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাধ্যমে হয়রান করা হয় এলাকাবাসীকে। অথচ, বুলবুলি ও তার পরিবারের সবায় বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ সংক্রান্ত অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছেও করেছেন।উক্ত আবেদনে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ময়জদ্দীন হামীদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ আসাদ, ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হায়দার লান্টু, পুরন্দপুর গ্রামের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবু তালেব ও আব্দুস সালাম বাচ্চুসহ এলাকাবাসী স্বাক্ষর করেছেন। এদিকে, বুলবুলির অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে সম্প্রতি মানববন্ধন করেছেন এলাকার নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে উপস্থিত আব্দুস সালাম ও আব্বাস উদ্দিন বলেন, বুলবুলির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি হালদারপাড়ার কয়েকটি পরিবারকে তারকাটা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সাথে সাথে পুলিশ দিয়ে তাকে হয়রানি করেন। ওই গ্রামে রাস্তা করার সময় সরকারি কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দেন। পিবিআই তদন্ত করে ঘটনা মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদনও দাখিল করে।এ বিষয়ে জেনিয়া সোহানী খাঁন বুলবুলি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য বলে দাবি করেন এবং পুলিশের কথামত তিনি হালদারদের রাস্তা তারকাটা দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন বলে জানান। মানববন্ধন চলাকালীন উক্ত নারী তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। সেদিন ওই বিষয়ে সাংবাদিকরা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘উক্ত নারী আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখান। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় এমপিও তার কাছে কিছু না।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত