কেশবপুর প্রতিনিধিঃ দেশে অহরহ পুরুষ দ্বারা মহিলারা নির্যাতিত হবার ঘটনা নিত্য দিনের হলেও ব্যতিক্রম ঘটনা কেশবপুরে।এক স্ত্রীর অব্যাহত নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামী তার বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করেও নিরাপত্তাহীনের ঘটনায় কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন তিনি। কেশবপুর উপজেলার বলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মোড়লের ছেলে আকতারুজ্জামান কাবুল ৪ অক্টোবর কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে জানান ১৯৯০ সালে খুলনার খালিশপুর হাউজিং বাজার বাসা নং: ডব্লিউ/৭১এর শেখ মোর্শারাফ হোসেনের মেয়ে নাদিরা আখতারকে বিয়ে করেন। তারস্ত্রীর গর্ভে ২টি কন্যা সন্তান হয়। তাদেরকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। অথচ আকতারুজ্জামানের এক আত্বীয় শরিফুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ঠিকমত ঘর সংসার করেনা। দোকানের কাজে ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আত্মীয়তার সুবাদে ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করায় স্ত্রীর সঙ্গে পরোকীয়া সম্পর্ক গোড়ে তোলে। স্ত্রীর অব্যাহত তালাক চাওয়ায় দুপক্ষের শর্তশাপেক্ষে তালাক দেয়া হয়।এরপর স্ত্রী তার শর্ত ভঙ্গ করে। মেয়ে-জামায়সহ নিজের সম্মানের কথা ভেবে আমি লোক লজ্জার ভয়ে গত ২৭/১২/১৮ তাং মাগুরাডাঙ্গা মৌজার ৮০ নং জে.এল, ২৩৫ নং খতিয়ানের ৬৮৮ নং দাগের .৮০ শতকের মধ্যে আমার পৈত্রিক ভিটা বাড়িসহ .৫ (পাঁচ) শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। যার দলিল নং: ৬৩৭০। এরপর থেকে স্ত্রী নাদিরা ও ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। বর্তমানে জীবন ভয়ে তিনি তার পৈত্রিক ভিটা বাড়ি ছেড়ে শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এরই মধ্যে গত ৩০/০৯/২০তাং- বিকাল ৩টার সময় আকতারুজ্জামানের আখতার গার্মেন্টর্সের তালা ভেঙ্গে আরেকটি তালা লাগিয়ে দেয় এবং ওই রাতেই তালা খুলে দোকান থেকে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটকরে নিয়ে যায়। বিষয়টি কেশবপুর থানায় জানানো হয়।বর্তমান স্ত্রী নাদিরা ও ভগ্নিপতি শরিফুল ইসলাম এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলেছে। তাদের হুমকির কারণেই জীবন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে নির্যাতিত এই স্বামী জানান ।