শাহীন শাহ আফ্রিদির কথা শুনলে মনে হবে—গাছে কাঠাল গোঁফে তেল। কিন্তু খেলাধুলায় লক্ষ্য থাকতে হয়। পাকিস্তানি পেসার স্রেফ নিজের লক্ষ্যের কথাই বলেছেন—টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে চান ভারতের মাটিতে।ভাবতে পারেন, কথাটা একটু আগেভাগেই হয়ে গেল না! টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনো এক বছরের মতো সময় বাকি। শিরোপা জেতা দূরে থাক, ২০ বছর বয়সী এই পেসার সে সময় পাকিস্তান দলে থাকবেন কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু ওই যে, মানুষ আশায় বাঁচে, আশাই মানুষকে নিয়ে যায় ইপ্সিত লক্ষ্যের কাছে।আফ্রিদি তাই আশায় আছেন—২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে জায়গা করে নিতে তো চানই, পাকিস্তানকে জেতাতে চান শিরোপা। আর টুর্নামেন্ট যেহেতু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মাটিতে তাই সেখানে শিরোপা জিততে পারলে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না।বাঁহাতি এ পেসার মনের মধ্যে সেই আশার বীজ বুনেছেন ইমরান খানদের বিশ্বকাপজয়ী দলকে দেখে। পাকিস্তানে লোকে এখনো ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলটাকে নিয়ে কথা বলে, নষ্টালজিয়ায় ভোগে। আফ্রিদি হতে চান এমন এক দলেরই সদস্য।পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট পাকপ্যাশনডটনেট আফ্রিদিকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘লক্ষ্য নিয়ে কথা বললে বলব, ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে থাকতে পারলে ভালো হয়। দলকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করতে চাই। একদিন বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হতে চাই। বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হতে পারা সব সময়ই দারুণ সম্মানের বিষয়। লোকে এখনো আমাদের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলে।’জাতীয় দলে দুই বছর আগে অভিষেক ঘটেছে শাহীন শাহ আফ্রিদির। এর মধ্যে তরুণ পেসার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন। ঘন্টায় ৯০ মাইল গতির আশপাশে বল করে যাওয়ার খ্যাতি আছে তাঁর।আফ্রিদি মনে করেন শুধু ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দল নয়, ২০০৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ইউনিস খানের দল এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা সরফরাজদের দল নিয়েও লোকে গর্বিত, ‘(১৯৯২ বিশ্বকাপের মতো) একই কথা খাটে ২০০৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্যও। ইউনিস খানের নেতৃত্বে ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী দলকেই বা কে ভুলতে পারে! তবে আমি দলে থাকি বা না থাকি পাকিস্তানকে সব সময় সব সংস্করণে শীর্ষে দেখতে চাই।কাউন্টি দল হ্যাম্পশায়ারের হয়ে টি২০ ব্লাস্টে খেলেছেন আফ্রিদি। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি জানালেন, হ্যাম্পশায়ারে অনেক কিছু শিখেছি। ওখানে ক্রিকেটটা কীভাবে খেলা হয় শিখেছি। ক্রিকেটার হিসেবে শেখার তো কোনো শেষ নেই।
অনলাইন ডেস্ক