গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন,ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ।তিনি বলেন, সরকার ও বিএনপি দু’জনেই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। সরকার করোনায় আক্রান্ত ধর্ষণ আর দুর্নীতিতে। আর বিএনপি করোনায় আক্রান্ত মাজাভাঙা রাজনীতিতে। এই করোনা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে।আজ শুক্রবার ২ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারকে ধর্ষণ আর দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে বিএনপিকেও মাজাভাঙা রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারছে না।জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে যেভাবে ধর্ষণ আর গণধর্ষণ করছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, তাতে এ দেশের মা-বোনেরা আর শান্তিতে থাকতে পারছে না। কোথাও শান্তিতে বের হবে, তারও উপায় নাই।অন্যদিকে দুর্নীতি যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই।ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে সুশাসন নেই। সুশাসন থাকলে ছাত্রলীগ এভাবে যেখানে সেখানে ধর্ষণ করতে পারতো না।সরকারপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। আর না। এবার ক্ষমতা ছাড়েন। অনেক হয়েছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। কোথাও কেউ শান্তিতে নেই। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে মূলত বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করছে সরকার। কারণ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষমতা সবসময় জনগণের হাতে ন্যাস্ত থাকবে। বঙ্গবন্ধু শোষণবিহীন সমাজ ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছেন।পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে তেলেসমাতি খেলছে সরকার। আগেই ব্যবস্থা নিলে এরকম পেঁয়াজকাণ্ড হতো না। ভারত নীতি পরিহার করতে হবে। নিজের উৎপাদন বাড়ানো ও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ আনতে হবে। তাহলে ভারতও এভাবে খেলতে পারবে না।প্রত্যেক বাসাবাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করতে সরকারি আদেশ জারিরও দাবি জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ।আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক