শহরতলীর ধর্মতলা এলাকার শিশু কথা আফিরন তৃষা হত্যা মামলার দুই সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সিহাবুর রহমান ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান মামলার সাক্ষী হিসেবে বুধবার আদালতে জবানবন্দি দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক টিএস মুসা সাক্ষী জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এছাড়া এ মামলায় এর আগে বাদী সহ সাত স্বাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় একই আদালতে।
যশোর শহরতলী ধর্মতলা এলাকার ইজিবাইকচালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে শিশু তৃষা গত বছরের ৩ মার্চ বিকেলে আরবি পড়ে বাসায় ফেরে। এরপর খেলতে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় সে। চব্বিশ ঘণ্টা পর বাড়ির পেছনের ডোবায় তার বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। তৃষাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে আসে। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ৬ মার্চ ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী শামীম (৩০) ক্রসফায়ারে নিহত হন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় স্থানীয় আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলা কে আটক করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। পরে সে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যা ও ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় খোলাডাঙা এলাকার কামরুল গাজীর ছেলে মেহেদি হাসান শক্তি ও একই এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকলেও নিহত হওয়ায় শামীমকে এ মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন করা হয়। এরপর প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
রাতদিন সংবাদ