Monday, May 20, 2024

মণিরামপুর ও কেশবপুরে ফের অভিযান, ৮ টি ক্লিনিক বন্ধ ঘোষনা

- Advertisement -

যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুরে বেসরকারি ২২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। গত ২২ আগস্ট প্রথম দফার অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করাসহ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু তা অমান্য করার অভিযোগে বুধবার সিভিল সার্জন আবু শাহীনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে দু’টি উপজেলার আটটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স অনুমোদন দেয়ার জন্যে পরিদর্শন রিপোর্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, বিধি-বিধান অনুসরণ করে ক্লিনিক ব্যবসা করার জন্যে মণিরামপুরের মুন ও রোকেয়া ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। একইসাথে তাদের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ করা হয়েছিল। ত্রুটি সংশোধন না করায় আগের আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। রাজগঞ্জ ডায়াগনস্টিক ও সেফ ডায়াগনস্টিক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছিল। তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মণিরামপুরের মনোয়ারা ক্লিনিক, রাজগঞ্জের তফি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রাজগঞ্জ মর্ডাণ ক্লিনিকের কার্যক্রম মানসম্মত পাওয়া গেছে। ফলে তাদের অনুকূলে পরিদর্শন রিপোর্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ জানিয়েছেন, কেশবপুর উপজেলা শহরের ১৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু শাহীনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যবিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়েছে। এসময় চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযানিক টিমের সাথে অশোভন আচরণ করেছেন মডার্ণ ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একটানা এ অভিযান চলে। অভিযানে ক্লিনিকের কাগজপত্রে ত্রুটি এবং স্বাস্থ্য সেবায় মান যাচাই করা হয়। মারাত্মক ত্রুটি পাওয়ায় রাইজিং প্যাথলজি, আরিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সাতবাড়িয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক বন্ধ করে দেয়া হয়। মডার্ণ হাসপাতাল ও কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে সরকারের অননুমোদিত বিভিন্ন ডিগ্রি লিখে ডাক্তারদের সাইন বোর্ড খুলে ফেলা হয়। এতে তেলে বেগুলে জ্বলে উঠে মডার্ণ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনাকারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। মডার্ণ হাসপাতাল ও কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক পরিচালনার ক্ষেত্রে ১০ শয্যার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত রোগী থাকায় ১০ জন বাদে অন্যদের সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়। মনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দু’দিনের মধ্যে তা সম্প্রসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।অভিযানিক টিমে ছিলেন যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদ, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জাহিদুর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এ এন এম নাসিম ফেরদৌস, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতীন লাহিড়ী।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত