Friday, May 17, 2024

কিশোরীর পিত্তথলীতে পাথর নেই, তবুও অপারেশান!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভুল অস্ত্রপচারে হাজিরা খাতুন (১৭) নামের এক কিশোরীর পিত্তথলি কেটে ফেলেছে ডাক্তার৷ উপজেলার শেখ  আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ঈসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন অনিবন্ধিত শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে৷  ভুক্তভোগী হাজিরা খাতুন (১৭)  উপজেলার চিতলা গ্রামের জামাল সরদারের মেয়ে৷ কিশোরীর বড় ভাই খায়রুল বাশার এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাজিরা খাতুনের পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে নিয়ে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডা. ঈসমাইল হোসেন রোগী দেখে জরুরি অস্ত্রপচারের পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশনের জন্য সম্মত হন ভুক্তভোগী কিশেরারীর পরিবার। কিন্তু অপরাশনের পরে কতৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় যে ভুক্তভোগী কিশোরীর পিত্ত থলিতে আদৌ কোন পাথর ছিল না। এ বিষয়ে সার্জারি ডাক্তার ঈসমাইল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রোগীর আত্নীয় স্বজনের পীড়া-পীড়ির কারণে তড়ি-ঘড়ি করে আমি অস্ত্রপচার করেছি । শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ১০৪ নং কেবিনে ঢুকতেই সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ভুক্তভোগী হাজিরা হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, যে ডাক্তার আমার জীবন নিয়ে ব্যবসা করলো আমি সেই ডাক্তারের আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ট বিচার চাই। আর যেন কোন বোন আমার মত এমন প্রতারণার শিকার না হয়। লিখিত অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে৷
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত