যশোরের মনিরামপুরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ৫৫৫ বস্তা চাল বিক্রির মামলায় আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আটক আব্দুল কুদ্দুস জুড়ানপুর গ্রামের আকবর মোড়লের ছেলে।ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সরকারের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) ৫৫৫ বস্তা চাল বিক্রির মামলায় ইতোপূর্বে ঘটনার সাথে জড়িত শহিদুল ইসলাম নামে এক আসামিকে তারা আটক করে। আদালতে দেয়া তার ১৬৪ ধারার জবানবন্দি থেকে সরকারি চাল বিক্রির সাথে জড়িত হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও আব্দুল কুদ্দুস নামে আরও একজনের নাম প্রকাশ পায়। সেই থেকে তারা আব্দুল কুদ্দুসকে খুঁজছিলো। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার জুড়ানপুর থেকে তাকে আটক করে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল মনিরামপুর থানা পুলিশের এসআই তপন কুমার সিংহ উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের ভাই ভাই রাইস মিল অ্যান্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৫৫৫ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। এ সময় মিল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদারকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। পরে আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দি থেকে সরকারি চাল বিক্রির সাথে জড়িত হিসেবে শহিদুল ও জগদীশ নামে দুজনের নাম প্রকাশ পায়। এরপর ডিবি পুলিশ প্রথমে শহিদুল ও পরে জগদীশকে আটক করে। এই দুজনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
রাতদিন সংবাদ