Sunday, May 19, 2024

চৌগাছায় নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ !

- Advertisement -

যশোরের চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের কড়ইতলা-কয়ারপাড়া ইটের রাস্তা (এইচবিবি ও সোলিং) উঠিয়ে পিচ দিয়ে পাকা করার কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। তারা আরো বলেন,প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কোন লোকজনই রাস্তার কাজের সাইডে ঠিকমত আসেনও না, খোঁজ খবরও নেন না। এদিকে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।
চৌগাছা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সোহাগ হোসেন, হিরো আহমেদ, ফারুখ হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। সে অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পাকাকরনের কাজ চলছে। কিন্তু এইসব রাস্তা পাকাকরণের কাজে শুরু থেকেই অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। রাস্তার এসকল কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি ছিটিয়ে লেবেল করার চেষ্টাও চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং করছি। তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ম্যানেজার আবুল কাশেম আমাদের কথার কোন পাত্তাই দেন নি। তিনি বলেছেন আমরা এভাবেই কাজ করবো। আপনাদের যা করার করেন। স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বিএম উজ্জল হোসেন রনি বলেন, ‘ইট, বালু, খোয়া কোনোটাই ঠিক নাই। যে পরিমাণ খোয়া ব্যবহার করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। খোয়া দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের। বালুও নিম্নমানের। রাস্তার দুই পাশে প্রথম শ্রেণির ইট দিয়ে এজিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণির ও কোথাও কোথাও দ্বিতীয় শ্রেণির ইট দিয়ে। স্থানীয় কয়েকজন চা দোকানদার জানান, কাজটি একেবারেই জঘন্য হচ্ছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের লোকজকে রাস্তা নির্মান কাজ দেখার জন্য কোনোদিনই কাউকে আসতে দেখিনি। স্থানীয়রা আরো জানান, উপজেলা প্রকৗশলীকে ফোনে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং উল্টো যারা অভিযোগ করছে তাদেরই ধমক দিয়েছেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সাইড ম্যানেজার আবুল কাশেম বলেন খোয়ার সাথে কিছু মাটি ছিল তাই দেয়া হয়েছে। সারা রাস্তায়ই তো এভাবে মাটি দিয়েছেন প্রশ্ওে উত্তরে তিনি নানা ভাবে বুঝাতে থাকেন খোয়ার সাথে যে মাটি ছিল সে মাটিই রাস্তায় গেছে। তার দাবি আমরা নিয়মানুযায়ীই কাজ করছি। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন নিয়মিত সাইড দেখতে আসছেন। তবে কাজ চলাকালীন সময়ে সাইডে প্রকৗশল অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, আমাদের লোক নিয়মিত কাজ তদারকি করছেন। আমরা অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম খোয়ার সাথে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি খোজ নিয়ে দেখছি। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কত কিলোমিটার রাস্তার এবং বরাদ্দের পরিমান জানতে চাইলে এড়িয়ে যান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত