Sunday, May 19, 2024

চৌগাছা হাসপাতালের এক্সরে মেশিন ক্রয়ে দূর্নীতি ও অর্থ লোপাট!

- Advertisement -

যশোরের চৌগাছায় সরকারি মডেল হাসপাতালে এক্সরে মেশিন ক্রয়ে দূর্নীতি ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সংসদ যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন পরিদর্শনকালে হাতেনাতে ধরলেন সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আরকে এন্টাপ্রাইজের মালিক কবির হোসেনকে। জানা যায়, সারাদেশ ব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে দূর্নীতির খবর নতুন নয়। এবার চৌগাছা সরকারি হাসপাতালের দূর্নীতি ধরা পড়ল স্থানীয় এমপির হাতে। চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালের পোর্টএবল এক্সরে মেশিন ক্রয়ে ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন কালে নতুন ক্রয়কৃত পোর্টএবল এক্সরে মেশিনটি দেখতে যান।এ সময় তিনি বলেন,আমি একজন ডাক্তার এসকল মেশিন আমার সর্বাধিক পরিচিত। মেশিনটি দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি এটি মোটেও নতুন নয়। পুরাতন মেশিনকে রং করে সরবরাহ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ কিভাবে সেটি গ্রহণ করলেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এ ধরনের দূর্নীতিকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। দূর্নীতি যেই করুক বা তার পরিচয় যাই হোকনা কেন কোনো ছাড় নেই।এদিকে নতুন পোর্টএবল এক্সরে মেশিনের স্থানে রিকন্ডিশন মেশিন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা ব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা বইছে।বৃহস্পতিবার যশোর-২ আসনের সাংসদ  মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা.নাসির উদ্দিনের চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এই দূর্নীতি হাতেনাতে ধরে ফেললে ঘটনাটি টপ অব দি উপজেলায় পরিণত হয়।তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.মোস্তানিছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধূরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্সরে মেশিনটি গ্রহণ করলেন তা আমার মাথায় আসছে না। শুধু তাই না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কিভাবে সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয়পত্র দিলেন সেটি মোটেও আমার বোধগম্য নয়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লাকি বলেন, বিষয়টিতে আমি খুবই আপসেট। আমার স্টোরকিপার আর এক্সরে অপারেটর দুজনেই বললো এক্সরে মেশিনটি ঠিক আছে আর আমি প্রত্যয়ন দিলাম। আপনার কি মেশিনটি দেখে নেওয়া উচিত ছিল না, উত্তরে তিনি বললেন আমার ভুল হয়েছে।হাসপাতাল স্টোরকিপার ইমরান বললেন, সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আরকে এন্টার প্রাইজের মালিক কবির হোসেন আমাদেরকে কোনো কাগজপত্র দেননি। মেশিন নিলেন কেনো, উত্তরে তিনি বলেন আমি নতুন তবে এক্সরে মেশিনটি আমি বুঝে নিইনি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরবরাহকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরকে এন্টারপ্রাইজের মালিক কবিরকে আমি বলেছি আজকের মধ্যে মেশিন ক্রয়ের সম্পূর্ণ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ দিতে কবির রাজি হয়েছেন বলেও তিনি জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.মোস্তানিছুর রহমান বলেন, চৌগাছা উপজেলার এই সরকারি হাসপাতালটি বাংলাদেশের একটি মডেল হাসপাতাল। সেই হাসপাতালকে আরো অত্যাধুনিক করতে এবং উপজেলার জনসাধারনের জন্য এই পোর্টএবল এক্সরে মেশিনটি কিনতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিপির বরাদ্দ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাসপাতালের পোর্টএবল এক্সরে মেশিন ক্রয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই দূর্নীতির বিষয়ে কোন রকম ছাড় দেওয়া হবেনা ।সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আরকে এন্টাপ্রাইজের মালিক কবির হোসেন বলেন,নতুন এই মেশিনের দাম ১৫ লাখ টাকা। এডিপির বরাদ্দকৃত টাকাতে (৩,৫০,০০০/) এই মেশিন ক্রয় সম্ভব না।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত