Saturday, May 18, 2024

‘ভাবছিলাম ডাকাতি, এতো বড় হামলা হবে চিন্তাও করিনি’

- Advertisement -

চার বছর আগে পহেলা জুলাই সন্ধ্যা থেকেই দেশি-বিদেশি নাগরিকদের পায়চারি, আড্ডায় মুখরিত ছিল হলি আর্টিজান প্রাঙ্গণ। রাত প্রায় পৌনে ৯টার দিকে শোনা যায় বিকট শব্দ। মুহূর্তের মধ্যে দৃশ্যপট পাল্টে যায়।  জঙ্গিরা সেখানে উপস্থিত দেশি-বিদেশি লোকজনকে জিম্মি ও পরে ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার দিন হলি আর্টিজানের গেটে দায়িত্বরত নূর আলম বলেন, ওই সময় মনে হয়েছিল তারা ডাকাত। টাকা পয়সা নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু এতো বড় হামলা করবে চিন্তাও করতে পারিনি। মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতে এ প্রতিবেদকে মোবাইল ফোনে এমনটাই জানান নূর আলম। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। সন্ত্রাসীরা রাতের বিভিন্ন সময়ে জিম্মি অবস্থায় থাকা তিন বাংলাদেশি, বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। নূর আলম বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানের কর্মচারীরা ব্যস্ত ছিল খাবার তৈরি ও পরিবেশন নিয়ে। আমি ও হোসেন নামে আরেকজন প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। হোসেন তারাবির নামাজ পড়তে গেলে আমি একাই দায়িত্বে ছিলাম। এসময় ৫ জন লোক হেঁটে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে হেঁটে গেটের সামনে আসে। তারা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তারা পরিচয় দেয় না। তাদের কাছে প্রশ্ন করি কোথায় যাবেন? তাদের মধ্য থেকে একজন ‘এই ব্যাটা সর’ বলে আমাকে ঘুষি মারে। পরে তারা ভেতরে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, চোখের নীচে ঘুষি মারার পর আমি লেকভিউ ক্লিনিকে চলে যায়। একটু পর ভেতর থেকে গোলাগুলি শব্দ শুনতে পাই। আমিসহ অনেকে সারারাত সেখানে থাকি। সকালে জানতে পারি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে সাতজনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত