অয়নগরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সিবিএ,র সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী হত্যাকান্ডের ২৪ বছর পর রায়ে দুই আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রোববার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ ( জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, অভয়নগরের মহাকাল গ্রামের মাকসু ওরফে মাকসুদ ও খুলনা ফুলতলার যুগ্নিপাশা গ্রামের কানা বাবু ওরফে বাবু।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, অভয়নগরের ধোপাদী গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে কাওছার আলী বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সিবিএ নেতা ছিলেন। ১৯৯৯ সালে মিলের নির্বাচনকে কেন্দ্রকে করে কাওছার আলী গ্রæপের সাথে প্রতিপক্ষ গ্রæপের বিরোধ চলছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাওছার আলী নওয়াপাড়া বাজারের শাহী ট্রেডার্সে বসে লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। কিছু সময় পর ৭/৮ জন অস্ত্রধারী লোক এসে শাহী ট্রেডার্স ঘিরে ফেলে।
এরমধ্যে কানা বাবু ও অপর একজন রুমে ঢুকে কাওছার আলীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুরুতর আহত কাওছার আলীকে নওয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই সোহরাব দফতরী বাদী হয়ে আট জনের নামউল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় চার জনকে অভিযুক্ত ও অপর চার জনের অব্যহতি চেয়ে ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এসএস এম রোকন উদ্দিন।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহন শেষে আসমি কানা বাবু ও মাকসুদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। অপর দুই আসামি আব্দুর রশিদ ও নুর ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাদ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই জন পলাতক রয়েছে।
রাতদিন সংবাদ/আর আই-১৩