যশোরে এক তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে পরে একান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলার তিন আসামিকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার দু’আসামি আদালতে স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
আটকরা হচ্ছে, সদর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মোশারেফ গাজীর ছেলে আশিক, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাজমুল হাসান ও খলিলুর রহমানের ছেলে লিখন। এই মামলায় বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরমান হোসেন পলাতক রয়েছে।
- Advertisement -
বাদী ভুক্তভোগী তরুণী একই গ্রামের বাসিন্দা। আসামি আশিক ওই তরুণীকে বিয়ের করবে বলে আশ্বাস দিয়ে এক বছর ধরে প্রেমের অভিনয় করে। বিভিন্ন সময় কিছু ছবি এবং ভিডিও অপর আসামি আরমানের মাধ্যমে ধারণ করে। কিছুদিন পর আসামি আশিক মেয়েটির মা-বাবাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। ছয়-সাতমাস আগে মেয়েটির পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। সেখানে ওই তরুণী ভালোভাবেই সংসার করতে থাকে।
এরপর আসামিরা মেয়েটির স্বামীর মোবাইল ফোনে অশ্লীল কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে। পাশাপাশি তার স্বামীর কাছে চাঁদা স্বরূপ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়ে মানসম্মানের ক্ষতি করে। এরপর থেকেই মেয়েটি তার স্বামীর বাড়ি থেকে এসে পিতার বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে কোতোয়ালি থানায় ওই চারজনের নামে মামলা করেছে ভুক্তভোগী তরুণী। পুলিশ ওইদিনই তিনজনকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে। এরমধ্যে দু’জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
রাতদিন সংবাদ
আর কে-১৪
- Advertisement -