Wednesday, May 1, 2024

যশোরে মাত্র ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ডাক্তার বানাচ্ছেন ডি.কে নাথ

- Advertisement -

যশোর অফিস:

যশোরে ৮ হাজার টাকায় ডাক্তার তৈরি করছে জনসেবা সংসদ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এ প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজি, ডেন্টাল (এলএমএএফ), হোমিওপ্যাথিক, ফার্মেসী ও থেরাপির ছয় মাসের কোর্স করানো হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন ডি কে নাথ নামে এক কথিত ডাক্তার। তিনি নিজেকে চায়নার ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছেন।

অভিযোগ রয়েছে ওই কথিত ডাক্তার রোগী দেখার আড়ালে তিয়ানশির পণ্য বিক্রি করছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান এলএমএএফ কোর্স করাতে পারবে। তবে, ডেন্টাল, প্যাথলজি, থেরাপি ও ফার্মেসী কোর্স করাবার কোনো সুযোগ নেই। এ সকল কোর্সের নামে প্রতারণা করছে ওই প্রতিষ্ঠান।

সূত্র জানায়, পূর্বে ডি কে নাথ শহরের লাল দীঘির পাড়ে একটি ঘড়ির দোকানে বসতেন। এ সময় তিনি এমএলএম ব্যবসা তিয়ানশিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ডাক্তার সেজে রোগী দেখা শুরু করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমান তিনি সর্বরোগের ডাক্তার সেজে ঘোপ জেল রোডের মুক্তা এন্টারপ্রাইজের দ্বিতীয় তলায় ‘জনসেবা সংসদ সোসাইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে রুগি দেখছেন। স্থানীয়রা বলছেন, কথিত ডাক্তার ডি কে নাথ এখানে প্রতারণার দোকান খুলে বসেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্ব রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন কথিত ডাক্তার ডি কে নাথ। দেয়া হচ্ছে রোগীদের বিভিন্ন থেরাপি। গ্যাসের সমস্যার রোগীদের জন্য দেয়া হচ্ছে তিয়ানশির টি-ব্যাগ। যার মূল্য হাকা হচ্ছে হাজার থেকে ১২শ’ টাকা। প্রতিদিন দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবদ আদায় করা হচ্ছে আট হাজার টাকা। ভর্তির সময় দেয়া কোর্স শেষে চাকরির আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। প্রতারিত হয়ে কোনো ভুক্তভোগী টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে জানান তিনি মানবধিকার কর্মী। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে। কেননা, তার সাথে প্রশাসনের একাধিক বড় কর্তার উঠাবসা রয়েছে। এছাড়া, তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। তার কাছে একাধিক অখ্যাত পত্রিকার কার্ড রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক্তার ডি কে নাথ জানান, তার সকল কাগজ পত্র আছে। তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন মেডিকেল কোর্স চালু করেছেন। ওই সব কোর্সের ক্লাস এমবিবিএস ডাক্তাররা এসে নিয়ে থাকেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক জানান, ডি কে নাথ নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করছেন, যেটি সম্পর্ণ ভুয়া। কেননা, এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করতে পারবেন না। ওই প্রতিষ্ঠানে মেডিকেলের কি কি কোর্স করানো হচ্ছে তা খোঁজ নেয়া হবে। যদি কোনো অবৈধ কাজ হয়ে থাকে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত