- Advertisement -
দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে ঝিকরগাছায় এক গৃহবধূকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় স্বামীসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
একইসাথে তার পবিবারের কাছ থেকে ইতিমধ্যে নগদসহ ৫ লাখ টাকা হাতিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্বামী শ্বশুরের বিরুদ্ধে। পুলিশ আসামি আটকে অভিযান চালালে তারা নানামুখি হুমকি দিচ্ছে।
মামলায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝিকরগাছার বারবাকপুরের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে জান্নাতুন নাহার মোহনার বিয়ে হয় একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রায়হানের সাথে। মোহনার স্বামী শ্বশুর এখন যশোরের শেখহাটি আদর্শপাড়ায় বাড়ি করে বসবাস করছেন। বসবাসের এক পর্যায়ে স্বামী রায়হান, শশুর হাফিজুর রহমান, শাশুড়ি রাবিয়া বেগম গৃহবধূ মোহনার উপর নির্যাতন শুরু করেন যৌতুক চেয়ে। মেয়ের সংসারে শান্তির প্রশ্নে বাবা মোজাম্মেল হোসেন ব্যবসার জন্য নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকার সাংসারিক মালামাল, ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার মিলিয়ে সর্বমোট নগদ ও মালামালসহ ৫ লাখ টাকার একটি বুঝ দেন জামাইয়ের পরিবারকে। এরপরও তারা নির্যাতন অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে মোহনাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মোহনা উপায় না পেয়ে আহত অবস্থায় পিত্রালয়ে আসেন। বাবা মা মেয়েকে চিকিৎসা করিয়ে ঘটনার ব্যাপারে জানতে জামাই ওশ্বশুরকে বাড়িতে ডাকেন। ১৪ মার্চ স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি মোহনার পিত্রালয়ে এসে মারপিট ও নির্যাতনের কথা শুনতে না চেয়ে আবার ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় পিত্রালয়ে ফেলেই মোহনাকে আবারো মারপিট করেন স্বামী ও শ^শুর। এ সময় গুরুতর জখম হন মোহনা। শেষমেশ তিনি থানার শ্মরনাপন্ন হন। ২৬ এপ্রিল তিনি থানায় মামলা দাখিল করেন, যার নাম্বার ২১। মামলার পর পুলিশ আসামি আটকে অভিযান শুরু করলে তারা ফুঁসে উঠে নানামুখি হুমকি দিচ্ছেন মোহনা ও তার পরিবারকে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোহনা ও তার পরিবারের লোকজন জানান, নির্যাতনকারী আসামি স্বামী রায়হান ও শ্বশুর হাফিজুর রহমান বিএনপি জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। মোহনাকে প্রথম দিক থেকেই নির্যাতন করে আসছে। তার শ্বশুর হাফিজুর রহমার মৃত্তিকা অফিসের একজন গাড়ি চালক হয়েও যশোর শহরে জমি কিনে বাড়ি করেছেন। জামায়াত সংশ্লিষ্ট নানা কাজের সাথে জড়িত শ্বশুর পরিবার। মূলত মোহনার পরিবার আওয়ামী লীগ ঘরানার হওয়ায় রায়হান ও হাফিজুর রহমান বিয়ের পর থেকেই অকারণে ঝগড়া করে যৌতুক আদায় করে আসছে। ৫ লাখের পরে আরো ৫ লাখ চাচ্ছে। দাবি মেটাতে বাবা মোজাম্মেলের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
একইসাথে তার পবিবারের কাছ থেকে ইতিমধ্যে নগদসহ ৫ লাখ টাকা হাতিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্বামী শ্বশুরের বিরুদ্ধে। পুলিশ আসামি আটকে অভিযান চালালে তারা নানামুখি হুমকি দিচ্ছে।
মামলায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝিকরগাছার বারবাকপুরের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে জান্নাতুন নাহার মোহনার বিয়ে হয় একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রায়হানের সাথে। মোহনার স্বামী শ্বশুর এখন যশোরের শেখহাটি আদর্শপাড়ায় বাড়ি করে বসবাস করছেন। বসবাসের এক পর্যায়ে স্বামী রায়হান, শশুর হাফিজুর রহমান, শাশুড়ি রাবিয়া বেগম গৃহবধূ মোহনার উপর নির্যাতন শুরু করেন যৌতুক চেয়ে। মেয়ের সংসারে শান্তির প্রশ্নে বাবা মোজাম্মেল হোসেন ব্যবসার জন্য নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকার সাংসারিক মালামাল, ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার মিলিয়ে সর্বমোট নগদ ও মালামালসহ ৫ লাখ টাকার একটি বুঝ দেন জামাইয়ের পরিবারকে। এরপরও তারা নির্যাতন অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে মোহনাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মোহনা উপায় না পেয়ে আহত অবস্থায় পিত্রালয়ে আসেন। বাবা মা মেয়েকে চিকিৎসা করিয়ে ঘটনার ব্যাপারে জানতে জামাই ওশ্বশুরকে বাড়িতে ডাকেন। ১৪ মার্চ স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি মোহনার পিত্রালয়ে এসে মারপিট ও নির্যাতনের কথা শুনতে না চেয়ে আবার ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় পিত্রালয়ে ফেলেই মোহনাকে আবারো মারপিট করেন স্বামী ও শ^শুর। এ সময় গুরুতর জখম হন মোহনা। শেষমেশ তিনি থানার শ্মরনাপন্ন হন। ২৬ এপ্রিল তিনি থানায় মামলা দাখিল করেন, যার নাম্বার ২১। মামলার পর পুলিশ আসামি আটকে অভিযান শুরু করলে তারা ফুঁসে উঠে নানামুখি হুমকি দিচ্ছেন মোহনা ও তার পরিবারকে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোহনা ও তার পরিবারের লোকজন জানান, নির্যাতনকারী আসামি স্বামী রায়হান ও শ্বশুর হাফিজুর রহমান বিএনপি জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত। মোহনাকে প্রথম দিক থেকেই নির্যাতন করে আসছে। তার শ্বশুর হাফিজুর রহমার মৃত্তিকা অফিসের একজন গাড়ি চালক হয়েও যশোর শহরে জমি কিনে বাড়ি করেছেন। জামায়াত সংশ্লিষ্ট নানা কাজের সাথে জড়িত শ্বশুর পরিবার। মূলত মোহনার পরিবার আওয়ামী লীগ ঘরানার হওয়ায় রায়হান ও হাফিজুর রহমান বিয়ের পর থেকেই অকারণে ঝগড়া করে যৌতুক আদায় করে আসছে। ৫ লাখের পরে আরো ৫ লাখ চাচ্ছে। দাবি মেটাতে বাবা মোজাম্মেলের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি
- Advertisement -