যার উপস্থিতিতে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল এমএলএস ও ইন্টার মায়ামির ভাগ্য, সেই লিওনেল মেসিই এবার যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ লিগ শিরোপা জিতে নিলেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকার আগমনের পর অভিষেক মৌসুমেই প্রথম ট্রফি পেয়েছিল মায়ামি এরপর যোগ হয়েছে আরও কয়েকটি শিরোপা। এবার মেসির জোড়া অ্যাসিস্টে প্রথমবারের মতো এমএলএস কাপও জিতল ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিয়ারের সব অর্জন পূর্ণ করলেও মেসির পেশাদার ফুটবলে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার তাড়না অব্যাহত। সেই তাড়নায়ই তুলনামূলক অপরিণত মায়ামিকে বদলে দিয়েছেন তিনি। আলবা, বুসকেটস, সুয়ারেজ থেকে শুরু করে রদ্রিগো ডি পল দলে পরিবর্তন আনতে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন মেসিই।
দলীয় সাফল্যের দিক থেকেও রেকর্ড ধরে রেখেছেন ইতিহাস সেরা এই ফুটবলার। এবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৮-এ। দুই কনফারেন্সের শীর্ষ দল সিরিজে মুখোমুখি হয়ে ফাইনালে ওঠে আধিপত্য দেখিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্স জয়ের পর এবার এমএলএসের সেরার মুকুটও উঠল মায়ামির মাথায়। মাশ্চেরানোর দল ৩–১ গোলে হারায় টমাস মুলারের ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে।
ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে লড়াইয়ে সমতায় থাকলেও গোল ব্যবধানেই ফল নির্ধারিত হয়। ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটে ফুলব্যাক এডিয়ার ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। ৬০ মিনিটে আলি আহমেদ গোল করে ভ্যাঙ্কুভারকে ম্যাচে ফেরালেও ৭১ মিনিটে ডি পলের দুর্দান্ত শটে আবার লিড নেয় মায়ামি। যোগ করা সময়ে তাদেও আলেন্দের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয়। দুটি গোলেই আত্মত্যাগী ভূমিকা রাখেন লিওনেল মেসি।
শিরোপা জয়ের পর গত মৌসুমের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে মেসি বলেন, গত বছর আমাদের লিগ খুব আগেভাগেই শেষ হয়েছিল। এ বছর আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল এমএলএস জেতা। দল অনেক কষ্ট করেছে—বছরটা লম্বা ছিল, অনেক ম্যাচ খেলেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা লক্ষ্য অর্জন করেছি।
১২ বছর আগে ইন্টার মায়ামির মালিকানায় যুক্ত হয়েছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম। মাঠের লড়াইতে ক্লাবের যাত্রা শুরু ২০২০ সালে তিন বছর পর যুক্ত হন মেসি। এরপরই বদলে যায় ভাগ্যগাথা।
মায়ামির সহ-মালিক বেকহ্যাম তাই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁরকাকেই এটি অবিশ্বাস্য একটি যাত্রা। মেসি শুধু উপভোগ করতে আসেনি সে জিততে এসেছে। সতীর্থ, শহর, ক্লাব—সব কিছুর প্রতি তার নিবেদন অসাধারণ। লিও একজন স্বাভাবিক বিজয়ী।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৩







