Thursday, July 17, 2025

যশোরে সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি ওষুধ চোরাচালান!

সরকারি হাসপাতালের স্টোর থেকে গোপনে চুরি করে এইচআইভি রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ ও লুব্রিকেন্ট বাজারে বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। এসব ওষুধ নাকি ব্যক্তিগত বাসায় মজুদ করে পাচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, যখন একাধিক মাঠপর্যায়ের কর্মী সরকারি ওষুধ নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ওষুধ পাচারের সঙ্গে সরকারি এইচআইভি প্রজেক্টের আওতায় কর্মরত আউটরিচ কর্মকর্তা আবু আলী জাবেদ ও রেক্সোনা বেগম সরাসরি জড়িত।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, এসব সংবেদনশীল ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক ডা. হুসাইন সাফায়েতের এক সহকর্মী “নীল” নামের ব্যক্তির বাসায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছে—কার অনুমতিতে এবং কোন উদ্দেশ্যে এসব জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ব্যক্তিগত বাসায় রাখা হচ্ছে?

এ বিষয়ে ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে।”

তবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ পাচারের অভিযোগ থাকলেও কার্যকর তদন্ত ও শাস্তির অভাবে অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসেবা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা বিপদে পড়ছেন।

এদিকে সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু দুর্নীতি নয়, মানবিকতার ঘোরতর লঙ্ঘন। তারা অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তদন্ত কার্যক্রম নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ না হলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে এমন দুর্নীতির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর