ঝিকরগাছার বালিয়া গ্রামের প্রবাসী আশাদুল হক আশা হত্যা মামলায় আটক তিনজনের দুইদিন করে রিমান্ড ও অপর তিনজনকে দুই দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। শনিবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা এ আদেশ দিয়েছেন।
রিমান্ডের আসামিরা হলো, ছুটিপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে রকিব উদ্দিন, মোহাম্মদপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে জনাব আলী ও কাগমারী গ্রামের তফসির আলীর ছেলে সাহাঙ্গীর আলী।
জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যাদের তারা হলে, কাগমারী গ্রামের মৃত লুলু হকের ছেলে ওলিয়ার রহমান, ছুটিপুর গ্রামের দবির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আহমদ আলী ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে আরব আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আশাদুল হক আশা বিগত সরকারের আমলে মামলা হামলার কারনে গ্রাম ছেড়ে শার্শার বেনাপোলে বাড়িঘর করে বসবাস শুরু করেন। একর্পায়ে আশা বিদেশে কাজের সন্ধানে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিলে আসেন ও কৃষক দলের সভাপতির নির্বাচন করবেন প্রচার শুরু করেন। প্রতিপক্ষ হয়ে যায় তারই দলের লোকজন। গত ১০ মে আশা ও তার ভাই মহিদুল ছুটিপুর বাজার থেকে লোকজন নিয়ে প্রচার মহড়া শুরু করেন। জামতলা মোড়ে পৌঁছালে তারই দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আশা ও মহিদুল গুরুতর আহত হয়। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশা মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দিন ছয়জনকে আটক ও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শনিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।