যৌতুক নিরোধ ও পারিবারিক সুরক্ষা আইনে স্বামীসহ পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন এক দন্ত চিকিৎসক স্ত্রী। শনিবার যশোর উপশহর সি-ব্লকের বাসিন্দা মৃত এসএম তমিজ উদ্দিনে মেয়ে শান্তা শারমীন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী যৌতুক মামলায় সমন ও সুরক্ষা আসামিদের প্রতি নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, শহরের পুরতানকসবা লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা দন্ত চিকিসকের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ^াশুর আব্দুল খালেক ও শাশুড়ি আলেয়া বেগম। ০১৬৮০৩৪১২৫২।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিবারিক ভাবে দন্ত চিকিৎসক শান্তা শারমিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাংসারিক পাঁচ লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। এছাড়া শান্তা শারমিনের মা তার জামাইকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আসামি আব্দল্লাহ আল মামুন তার স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নেন। এরপরও আসামি তার স্ত্রী শান্তা শারমিনের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায় চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি শান্তা শারমিন যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে পিতার বাড়ি তাড়িয়ে এবং যোগযোগ বন্ধ করে দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বাড়িতে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় শান্তা শারমিনের স্বজনেরা। বিষয়টি মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে যৌতুক নিরোধ ও পারিবাকির সুরক্ষা আইনে আদালতে আদালতে মামলা করেছেন তিনি।