Friday, June 20, 2025

যশোরে হক কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

যশোর শহরের হক কোচিং সেন্টারে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও শিক্ষক এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আজ শনিবার সকালে কোচিং সেন্টারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে দুপুরে কোচিং চলাকালে একসময় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে শিক্ষক এমদাদ ছাত্রীটিকে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে, তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রীটির মা-বাবা ও স্থানীয় আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন অভিভাবক হক কোচিং সেন্টারে গিয়ে এমদাদ হোসেনের ওপর চড়াও হন। তাঁরা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করলে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকার আরও অভিভাবক এবং স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে আসেন। কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর যশোর জেলা আহ্বায়ক রাশেদ খান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তার মধ্যস্থতায় ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও কোচিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি আপাতত স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।

তবে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসা হলেও অনেক অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোচিং সেন্টারে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর