Friday, June 20, 2025

ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে আর কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। এত দিন আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার অভাবে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও এখন আর সে সমস্যা থাকবে না।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার (১২ মে) সরকারের আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হবে। এরপর থেকে দেশের কোথাও আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল, সমাবেশ বা গোপন বৈঠক হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে পারবে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে এসপিদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কাগজে-কলমে আদেশ জারি না হলেও আওয়ামী লীগকে এখন কার্যত নিষিদ্ধ দলের তালিকায় রাখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলটির পক্ষে পোস্ট, মন্তব্য বা ভিডিও দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাইবার অপরাধ দমন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, “ফেসবুক বা ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কেউ কিছু বললে বা বিদেশে বসে প্রচার করলেও সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা হবে। দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার করা হবে।”

সাবেক আইজিপি নূরুল হুদা বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের আর কোনো বাধা থাকছে না। আইন অনুযায়ী এখন গ্রেপ্তার বৈধ।”

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী, সরকারি আদেশ অমান্যকারীদের ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে, অনলাইনেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সাইবার স্পেসেও দলটির উপস্থিতি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, সরকারি পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসি মেটা, গুগলসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে চিঠি পাঠাবে। ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটার থেকে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম সরিয়ে নিতে বলা হবে।

বর্তমানে ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামের ভেরিফায়েড পেজে প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। সেটিও নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর