Saturday, May 17, 2025

যশোরে কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির যশোর জেলা শাখার বিরুদ্ধে স্লিপ ছাড়া মাসিক অর্থ আদায়, অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম এবং হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, সমিতির ব্যানারে প্রতি মাসে প্রতিটি ওষুধের দোকান থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। তবে অর্থ প্রদানের কোনো রসিদ বা স্লিপ প্রদান করা হচ্ছে না। এর ফলে অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় সমিতির কর্মচারী পরিচয়ে সিরাজুল ইসলাম, বাইজিদ মাহমুদ ও  হাফিজুর রহমান নামের তিন ব্যক্তি এ অর্থ সংগ্রহ করছেন। তারা প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় কোনো অফিসিয়াল কাগজ না দিয়ে নিজেরা তৈরি একটি খাতায় স্বাক্ষর নিচ্ছেন, যা অনেক ব্যবসায়ীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে এই অর্থ প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, কোনো রকম রসিদ ছাড়া চাঁদা দেওয়া তারা আর চালিয়ে যাবেন না।

এদিকে, সমিতির কার্যকরী কমিটি নিয়েও রয়েছে জটিলতা। জানা গেছে, সভাপতি এ.এম. জামাল উদ্দিন বিলুর নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ ২৬ এপ্রিল শেষ হলেও এখনও তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, নতুন কোনো নির্বাচন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে এককভাবে সমিতি পরিচালনা করা হচ্ছে, যা নিয়মবহির্ভূত।

তবে, সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন সংক্রান্ত একটি স্মারকে বলা হয়েছে, যশোর জেলা শাখার ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯ অক্টোবরের সভায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যকরী কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতি হিসেবে পুনরায় এ.এম. জামাল উদ্দিন বিলুর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কিন্তু স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। এরপর আর কোনো নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমান কমিটির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, “এমআরপি বাস্তবায়নের অজুহাতে সভাপতি কঠোর নীতি প্রয়োগ করছেন, যা বাস্তবতা বিবর্জিত।” তারা অবিলম্বে স্লিপবিহীন চাঁদা আদায় বন্ধ, অগণতান্ত্রিক কমিটি বিলুপ্তি এবং হয়রানিমূলক কার্যক্রমের অবসান দাবি করেছেন।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর