যশোরের শার্শায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার বেনাপোল হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ৯২৫-এর লেবার সরদার এবং ৯নং উলাশী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লাল্টু মিয়াকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
গত ২৭ এপ্রিল (রবিবার) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন লাল্টু মিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “লাল্টু মিয়া বিএনপির পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। তিনি সবসময় দলীয় আন্দোলন, মিছিল ও সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে একাধিকবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তার ওপর এ বর্বর সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “এই নির্মম হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন এবং শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম শহিদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে লাল্টু মিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং দুপায়ে গুলি করা হয়। সন্ত্রাসীরা হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে।
বর্তমানে লাল্টু মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।