যশোরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম অপহরণের এক মাস পর হত্যার শিকার হয়েছেন বলে আটক দুই আসামি স্বীকার করেছে। যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার একটি বাগান থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধারে রওনা দিয়েছে।
রেজাউল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম শনিবার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাতক্ষীরার তালতলা বাজার কুড়ি কাওনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল এবং যশোরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে মমতাজ বেগম উল্লেখ করেন, আসামিরা একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তাদের সাথে রেজাউলের সুসম্পর্ক ছিল। এই সুযোগে তারা রেজাউলের শংকরপুরের ২ শতক জমির ওপর নির্মিত একতলা বাড়ি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। টাকা পরিশোধের কথা বলে ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয় রেজাউলকে।
আরো পড়ুন: শংকরপুরের রেজাউল অপহরণের এক মাসপর থানায় মামলা, ঘনিষ্ট দুইজন আটক
রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন জানান, তার বাবা শংকরপুরে দর্জির কাজের পাশাপাশি কাপড় বিক্রির ব্যবসা করতেন। একই এলাকায় সবুজের চা ও মুদিখানা দোকান ছিল এবং রিপন বেনাপোলে থেকে ভারতীয় পণ্য সরবরাহ করতেন। তাদের যোগসাজশে রেজাউলকে জমি বিক্রিতে বাধ্য করে পরে টাকার লোভে অপহরণ ও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার পরদিনই কোতোয়ালি থানা পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রেজাউলকে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ আশাশুনির একটি বাগানে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের জন্য আজ দুপুরে একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।