Saturday, May 17, 2025

যশোরে অনলাইন জুয়ার অভিযোগে আলোচনায় শিমুল, যুবসমাজ বিপথে

বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বনোগ্রামের শিমুল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

একসময় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করা শিমুল, কয়েক বছরের ব্যবধানে লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। বর্তমানে তিনি তার মা রেহেনা বেগমকে নিয়ে নানা গোলাম রসুলের বাড়িতে বসবাস করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, একাধিক ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত নারী-পুরুষদের অনলাইন জুয়ার ফাঁদে ফেলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন শিমুল।

এছাড়াও এসব পেইজ ব্যবহার করে নারীদের দিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসী জানায়, অভাবের সংসারে বড় হওয়া শিমুল ছোটবেলা থেকেই ধুরন্ধর প্রকৃতির ছিলেন। ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পর একপর্যায়ে তৃতীয় স্ত্রীর সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে গিয়ে জড়িয়ে পড়েন অনলাইন জুয়া ও মাদকসেবনের মতো কর্মকাণ্ডে। দেশে ফিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম।

তার প্রেমজাল, একাধিক বিয়ে ও নারীদের প্রতারণার ঘটনাও এলাকাবাসীর আলোচনায় উঠে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, শিমুল এখন পর্যন্ত ৬টি বিয়ের সম্পর্ক গড়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই বিচ্ছেদে শেষ হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে থাকা ১১ বছরের ছেলে মুস্তাকিন বর্তমানে ঝিনাইদহে চা-স্টলে কাজ করছে, বাবার কোনো খোঁজ-খবরও রাখেন না তিনি।

এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শিমুলের বিরুদ্ধে মুখ খুললে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই ভয়েই অনেকেই চুপ থাকেন।

সচেতন মহলের অভিযোগ, শিমুলের মতো অনলাইন জুয়ার কারবারিরা তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। দ্রুত ধনী হওয়ার লোভে যুবকেরা জড়িয়ে পড়ছে এই অবৈধ কাজে।

এ বিষয়ে শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা একটা চায়না কোম্পানি। এখানে ছেলে-মেয়েরা আড্ডা দিয়ে টাকা ইনকাম করে। সবাই চাইলেই এখানে কাজ করতে পারে না।”

এলাকাবাসীর দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত অনতিবিলম্বে শিমুল ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে এই অনলাইন জুয়ার নেটওয়ার্ক বন্ধ করা এবং যুবসমাজকে রক্ষা করা।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর