বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যতিক্রমধর্মী এক ড্রোন শো’র আয়োজন করা হয় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় আকাশে আলোকছটায় ফুটে ওঠে ১২টি অর্থবহ মোটিফ।
সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই ১৫ মিনিটের ড্রোন প্রদর্শনীর শুরুতেই ছিল খাঁচার ভেতর থেকে মুক্ত হয়ে উড়ে যাওয়া এক পাখির দৃশ্য—শোষণ-শাসনের খাঁচা ভেঙে ‘৩৬ জুলাই’-এর নতুন বাংলাদেশে উড়াল দেওয়া এক প্রতীকী যাত্রা।
এরপর ড্রোনের মাধ্যমে একে একে তুলে ধরা হয় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য, বিক্ষোভে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ‘পানি লাগবে, পানি’ বলে পানি বিলিয়ে দেওয়া মীর মুগ্ধ, বিপ্লবে-সংগ্রামে নারীর অংশগ্রহণ, সাধারণ মানুষের প্রতীক রিকশাচালক, জাতীয় ফুল শাপলা, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি, শান্তির দূত এবং চীন-বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব।
দর্শনার্থীরা সবচেয়ে আবেগাপ্লুত হন যখন ড্রোনের আলোকছটায় ফুটে ওঠে ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনার দৃশ্য এবং সবশেষে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
২ হাজার ৬০০ ড্রোন ব্যবহার করে প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়, যা কনসার্টসহ পুরো আয়োজনকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ।
বাংলা নববর্ষের এই অভিনব আয়োজন শুধু উৎসব নয়, এক ইতিহাস স্মরণ, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার প্রেরণা হয়ে উঠেছে।