Sunday, April 27, 2025

বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং ফারাহ মাহবুব। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব শপথ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা। এতে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (২৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় তাদের নিয়োগ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫(১) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদেরকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যা শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শে এ নিয়োগ দেন।

১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণকারী বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৯২ সালে জেলা আদালতে আইন পেশা শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের কন্যা।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বিভিন্ন আলোচিত রায়ে প্রশংসিত হয়েছেন, যেমন— আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য দ্রুত মামলা গ্রহণের নীতিমালা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা, শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায়।

এ দুই বিচারপতির আপিল বিভাগে যোগদান সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

অনলাইন ডেস্ক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর