যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।
এর মধ্যে তিন নেতার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে, একজনকে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং এক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অপর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, একই অভিযোগে দুই মাসের জন্য কেশবপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরীর দলীয় সদস্যপদ স্থগিত ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল ইসলামকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রোববার আরেক বিবৃতিতে জানান, ১৯ মার্চ বেনাপোল পোর্টে শ্রমিকদের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিছিলে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
ওই মিছিল সংগঠিত করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিছিলের ওই ঘটনায় মো. শহীদ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে ধরে নেওয়া হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।