অবশেষে অবরুদ্ধ সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দিন মিয়াজীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটকের পর তাকে নেয়া হয়েছে ডিবি অফিসে। শুধুই তাই না, তার বিরুদ্ধে মামলাও পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি যশোরে এসেছেন। তাকে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্র্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল ও ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া । এরআগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের রুদ্রপুরে মিয়াজীর মালিকানাধীন পার্ক শ্যামল ছায়ার মধ্যে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্র-জনতা।পরে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ হাজির হয়। রাত সাড়ে ১১ টায় তাকে নেয়া হয় ডিবি অফিসে। সালাহউদ্দিন মিয়াজী সাবেক সরকারের সর্বশেষ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসন থেকে নির্বাচিত হন। তার বাড়ি যশোর শহরের রেলগেটে।
থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক এই সংসদ সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জমি দখল করেছেন। নামমাত্র টাকা দিয়ে জোরপূর্বক জমি লিখে নিয়েছেন। তিনি লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সাধারণ মানুষকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রুদ্রপুর গ্রামেই তার রয়েছে ১২শ’ বিঘা সম্পত্তি। তার মালিকানাধীন শ্যামল ছায়া পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, নাগরিক কমিটির সদস্য আমানুল্লাহসহ আটজন আজ বিকেলে শ্যামল ছায়ায় খোঁজ নিতে যান সালাউদ্দিন মিয়াজী পার্কে অবস্থান করছেন কি না। ওই সময় আমানুল্লাহকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে মারধর করেন মিয়াজীর লোকজন। এরপর তাদেরকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা সেখানে হাজির হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের সাথে যোগদেন এলাকাবাসীও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাশেদ খান এবং নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি নুরুজ্জামান বলেন, যশোরে বিএনপির বড় সমাবেশের সুযোগে সালাহউদ্দিন মিয়াজী সেফ এক্সিটের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ছাত্র প্রতিনিধি ও গ্রামবাসী তার গাড়ি অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যায়।