জাকির হোসেন, কেশবপুর: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “আবার যদি ভাষণের নামে ষড়যন্ত্র করা হয়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।” তিনি দাবি করেন, অতীতে শেখ হাসিনা ভারতে বসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ তার সঙ্গে থাকা এমপি ও মন্ত্রীদের বাড়ি-ঘর ছাত্র ও জনতা ভেঙে দিয়েছিল।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় চত্বরে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত পরিচিতি ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদ সরকারের অধীনে ছিলাম। এখন মুক্ত বাতাসে কথা বলতে পারছি। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ভবিষ্যতের নির্বাচন কঠিন হবে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠনের ক্ষতি হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।”
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল রাজ্জাক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সহসভাপতি নির্মল কুমার বীট ও যুগ্ম সম্পাদক রেজানুল ইসলাম রিয়েল।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সহসভাপতি কুতুব উদ্দীন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুলজ্জামান চৌধুরীসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে কেশবপুর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য জেলা বিএনপির সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।