Monday, April 21, 2025

যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের ১৩৬ বছর পূর্তি উদযাপন: মিলনমেলায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা

‘এসো মাতি প্রাণের টানে’ আপন আঙ্গিনায়’ এই স্লোগান যেন বাস্তবে রুপ নিলো যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন এর প্রতিষ্ঠার ১৩৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। শনিবার দিনব্যাপী হৈ হুল্লর আর নস্টালজিক অনুভুতিতে প্রাত্তন শিক্ষার্থীদের কেটে গেল স্মৃতিময় একটি দিন। এবারের ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস ‘ পরিণত হয় মিলন মেলায়। মহামিলন মেলায় মিলেছিল নবীন প্রবীণ সকলেই।

বেলা ১১ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম। এরপর বের হয় শোভাযাত্রা। সকলেই একই ড্রেসে ভুভুজিলা হাতে নিয়ে শহর প্রদক্ষিক করেন তারা। তাদের বহর দেখে তাক লাগে শহরবাসীর।
বিকাল ৪টায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর মজুমদারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের সিইও অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ। সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মেহের কান্তি সরকার।

এ সময় সংবর্ধিত করা হয় স্কুলটির প্রাক্তন ছয়জন গুণী শিক্ষার্থীকে তারা হলেন ১৯৬২ এসএসসি ব্যাচের দেবব্রত ঘোষ, ১৯৬৬।

ব্যাচের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইসহাক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার মঈন উদ্দিন বাঁশি, ১৯৬৭ ব্যাচের বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব চিন্ময় সাহা ও অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ আফজালুল করিম লাকি এবং ১৯৬৮ ব্যাচের বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়।

এছাড়াও সংবর্ধিতদের জীবনী পাঠ করে শোনান মফিজুর রহমান হিমু, ডাক্তার এ কে এম মহিদুর রহমান, আফম নছরুল্লা, সাজ্জাদ গনি খান রিমন , আলমগীর হোসেন বাবু ও রকিব সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দীপঙ্কর দাস রতন। পরে চলে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।

প্রাত্তন শিক্ষার্থীর বলেন,” তারা এই স্কুলের প্রতিটি কোণায় তাদের স্মৃতি খুঁজে পান। যেন ৫০ বছরের আগের সেই স্কুল জীবনে ফিরে গেছেন। কেউ কেউ বলেন, “সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই স্কুলটি আমাকে একজন ভালো মানুষ হতে শিখিয়েছে। তারা এই স্কুলের ছাত্র হতে পেরে গর্বিত।
এছাড়া এদিন. স্কুল প্রাঙ্গনে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ ( সম্মিলনী ৮৬) উদ্যোগে নির্মিত ‘ অভিভাবক শেড এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এরপর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে একের পর এক পরিবেশনা। রাতে প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষনা করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সম্বনয়ক মফিজুর রহমান হিমু প্রাত্তন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে এ বন্ধ অটুট থাকবে আজীবন এমনটিই প্রত্যাশা করেন।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর