রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রথমত, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তাদের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ মেনে নেয়নি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে ওঠে।”
তিনি জানান, সরকার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে বিষয়টি আইনি কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসতে বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধকরণসহ নিবন্ধন বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি আরও বলেন, “সরকার সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমেই সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায় এবং ফ্যাসিস্ট শক্তির বিচারের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে।”
এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি নিয়েও তিনি কথা বলেন। তিনি জানান, “যারা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের মধ্যে রাষ্ট্র গঠনের স্পৃহা তৈরি হয়েছে। ফলে, তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে চিন্তা করছে, যা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।”
সরকার সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাচ্ছে—এ দুটি বিষয় সাংঘর্ষিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না, এটি মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। সংস্কার কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করলেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করা দলগুলো এখন কিভাবে একই কাঠামোয় নির্বাচন চাচ্ছে, সেটাই স্পষ্ট নয়। তাই আগে অর্থবহ সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
অনলাইন ডেস্ক