যশোরের বকুলতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৃহৎ ম্যুরালটি আজ বিপ্লবী ছাত্র জনতা বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু করেছে।
এর আগে, যশোরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে ফেলেছে ছাত্র জনতা। এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ-রাজপথ’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তারা আরও বলেন, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘মুক্তির একপথ খেলাফত-খেলাফত’। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। এ সময় তারা যশোর পৌরসভা, জেলা পরিষদ চত্বর, যশোর ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ চত্বর, মনিহার এলাকায় থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে ফেলে।
বিক্ষুব্ধরা জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা নানা কূটকৌশল চালিয়ে আসছে। তারা বলেন, ‘আমরা শক্তভাবে বলতে চাই, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কোনো ধরনের অপরাজনীতি ও অপচর্চা আমরা সহ্য করব না। শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছেন। মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছেন। কিন্তু তার কোনো সুযোগ নেই। ওই স্বৈরাচারের কোনো নাম-চিহ্ন এই যশোরের মাটিতে রাখা হবে না।’
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ভাষণ দিতে চাওয়ার প্রতিবাদে বুধবার রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা মাঠে নামেন। অন্যদিকে, যশোরের নেতৃবৃন্দও রাজপথে নেমে আসেন। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে ফেলেন।
এদিকে, সারা দেশে ১ হাজার ৪৯৪টি ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলার তথ্য পাওয়া গেছে।