আদেশ অমান্য করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর সদরের ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এক আদেশে এ কারাদন্ড দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ৩ নম্বর ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিরচারক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ জুলাই যশোর সদরের সরুইডাঙ্গা গ্রামের আনার আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম সদর আমলী আদালতে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছিল ইছালী ইছালী পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানকে। তৎকালিন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যশোর সদরের ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে।
এ মামলার ১১ টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যনকে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক। ১০ মার্চ তদন্তকর্মকর্তা চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হননি। ওই বছরের ২৫ জুলাই ২১ নম্বর আদেশে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। গতকাল রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হননি।
বারবার তাগাদা দেয়া সত্তেও তদন্তকারী কর্মকর্তা ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সময়ের প্রর্থনা বা প্রতিবেদন জমা দেননি। ফলে আদালতে আদেশ অমান্য করায় বিচারক তাকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে পিবিআই যশোরকে।