Monday, April 21, 2025

ভাড়ায় ইজিবাইক চালানোর কথা বলে নিয়ে অনত্র বিক্রি, চারজন আটক

যশোরে ভাড়ায় ইজিবাইক চালানোর কথা বলে মালিকের কাছথেকে নিয়ে অনত্র বিক্রি করার অপরাধে জারজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করেছে খোয়া যাওয়া ইজিবাইকটি। এ ঘটনায় ভুক্তোভুগি ইজিবাইকের মালিক যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, ইজিবাইক চালক বেজপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সুমন ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত শেখ আকতার হোসেনের ছেলে শেখ মাসুদ রানা, কচুয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আনোয়ার হোসেন। ডিবির এসআই মাইদুল ইসলাম প্রথমে দড়াটানা থেকে ইজিবাইক চালক সুমনকে শনিবার দুপুরে দড়াটানা থেকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রোববার কুষ্টিয়া ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকীদের আটক করা হয়।

মামলায় আমিনুর উল্লেখ করেন, সুমন তার পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাধে তার বোরাক একটি ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালানোর প্রস্তাব দেন সুমন। তিনি রাজি হন। সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চলে যান সুমন। এরপর আর ফেরেনা। পরে আমিনুর ডিবি পুলিশকে অবহিত করেন।

ডিবি জানায়, মুলত ওই ইজিবাইকটি সুমন সহ অপর দুইজন মিলে কুষ্টিয়া কুমারখালিতে বিক্রি করেন। বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে। এমনকি সুমনকে আটকের পর তা স্বীকারও করেন। ওই চারজনকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরিচিত সুবাদে ইজিবাইক মালিকের ইজিবাইক চালানোর কথা বলে নিয়ে যেয়ে বিক্রি করার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রোববার ২ ফেব্রুয়ারী কোতয়ালি থানায় প্রতারণা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, সুমন ইসলাম বাদির পূর্ব পরিচিত পরিচিতির সুবাদে সুমন বাদির একটি ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালায়। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৯ জানুয়ারী সকাল ৮ টায় সুমন ইসলাম বাদির বাড়ি হতে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালানোর জন্য যায়। পরবর্তীতে যথা সময় ইজিবাইক নিয়ে বাদির বাড়িতে ফেরত না দেওয়ার জন্য বাদি সুমনের মোবাইল ফোনে ফোন করলে বন্ধ পাই। এরপর বাদি বিভিন্ন স্থানে সুমন ইসলাম ও তার ইজিবাইক খোঁজাখুজির এক পর্যায় না পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কাছে যান। ডিবি পুলিশ ১ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টার পর সুমন ইসলামকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শহরের দড়াটানা মোড় হতে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সে পুলিশকে জানায় তার সাথে শেখ মাসুদ রানা ও রেজাউল ইসলাম পরস্পর যোগসাজসে একত্রে উক্ত ইজিবাইকটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানা এলাকায় বিক্রি করেছেন। পরবর্তীতে সুমন ইসলামের দেয়া তথ্য মতে তাকে সাথে নিয়ে শহরের গরীবশাহ মোড় হতে শনিবার ১ ফেব্রুয়অরী দুপুর ২ টার পর শেখ মাসুদ রানা, রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে আসামীদের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মহেন্দ্রপুর বাজার হতে আনোয়ার হোসেনরকে রোববার ২ ফেব্রুয়ারী রাত ২ টার সময় গ্রেফতার করে। তার দেখানো মতে বাদির উক্ত ইজিবাইক উদ্ধার করে। রোববার ২ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর