পাচারের অভিযোগে যশোর কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার তিন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। তিন আসামিই একই পরিবারের।
এরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিতেরপুর গ্রামের হাফিজুর খন্দকার (৫৫), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম রুপালী (৩৫) এবং তার ছেলে রেফাত হোসেন (২০)।
যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) পাচারের অভিযোগে আদালতে পিটিশন দাখিল করলে কোতয়ালি থানা পুলিশ নিয়মিত এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে। পরে গত শুক্রবার রাতে জিতেনপুর থেকে তাদের আটক করে। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারে সবুজ হোসেন উল্লেখ করেছেন, আসামিরা তার দুর সম্পর্কের আত্মীয়। আসামি হাফিজুরের বড় ছেলে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে থাকে। সেই সূত্রে তাকে সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে বলে জানায়। আসামিরা প্রস্তাব দিলে তাদের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেন। পরে আসামি রেফাত হোসেনের কাছে ৬ লাখ টাকা দেন। গত ২ নভেম্বর সৌদি আরবের ভিসা দিয়ে তাকে বিমানযোগে সৌদিআরবে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে একটি স্থানে রেখে দেয়। তাকে কোন ভাল কাজ দেয়া হয় না। কাজ না পেয়ে তিনি ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে ফেরৎ আসেন এবং ৩ জানুয়ারি সকালে আসামিরা তার বাড়িতে আসে সমস্যা সমাধানের জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাজ না পাওয়া ক্ষোভ জানানো হয় একই সাথে টাকা ফেরৎ চাওয়া হয়। কিন্তু তারা টাকা না ফেরৎ দিয়ে উল্টো হুমকি দেয়। ফলে তিনি আদালতে পিটিশন দাখিল করলে পুলিশ ওই পিটিশনটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে এবং আসামি তিনজনকে আটক করে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৫