মিমির বাবা মোঃ আফসার উদ্দিন সরদার একজন দিনমজুর, যিনি পরিবার চালাতেই হিমশিম খান। মিমি স্থানীয় নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি ও দিঘলিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি মেধাতালিকায় ২,১১৬তম হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট এক খণ্ড জমিতে তাদের বসতভিটা, যেখানে দুটি টিনের ঘর। মিমি জানান, ছোটবেলা থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু অসচ্ছলতার কারণে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সাহস পাননি। তবে শিক্ষকদের উৎসাহ ও সহায়তায় তিনি এগিয়ে যান। এখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ও পড়াশোনার খরচ চালানো তার পরিবারের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মিমির বাবা আফসার উদ্দিন বলেন, ‘দিনমজুরের কাজ করি, সবদিন কাজ পাই না। এবার শীতের কাপড় কিনতেও পারিনি। শুনেছি, মেডিকেলে ভর্তি হতে ২৫ হাজার টাকা লাগবে। ঘরের পাশে দুটি দেবদারু গাছ আছে, বিক্রির জন্য লোক দেখিয়েছিলাম, ১২ হাজার টাকা বলেছে। ভর্তি করতেও আরও ১৩ হাজার টাকা লাগবে। ভর্তি করলেও মেয়েকে পড়ানোর খরচ চালানো কষ্টকর হবে।’
নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘মিমি অত্যন্ত মেধাবী। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সহায়তায় তার পড়াশোনা চলেছে। কিন্তু মেডিকেলে পড়তে অনেক টাকা লাগে। পরিবারটি খুবই অসচ্ছল। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে।’
মিমির পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এখন সমাজের সহানুভূতিশীল ও সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তা প্রয়োজন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১২