ওয়াসি মোহাম্মাদ সাদিকঃ যশোরের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসকেন্দার আলী জনি, যিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের যশোর জেলা কমিটির বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এমন কিছু অভিযোগ করেছেন যা অনেকের কাছেই অবাস্তব ও আজগুবি বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
এসকেন্দার জনি ফেসবুক লাইভে দাবি করেছেন যে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা। তার ভাষ্যমতে, যশোর ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে থাকা ওবায়দুল কাদেরকে ৫ তারিখের পরে ভারতে পার করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রানা। জনির অভিযোগে আরও বলা হয়, রানার সহায়তায় আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা ভারতে পালিয়েছেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং “আষাঢ়ে গল্প” বলে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, “ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটে যাবে আর কেউ জানবে না—এটি হাস্যকর।”
জেলা যুবদল নেতারাও একই মত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, জনি তার বহিষ্কারের পর থেকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন আচরণ করছেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।
এসকেন্দার জনি একসময় বিএনপির জেলা কার্যালয়ের টি-বয় ছিলেন। তিনি চা পরিবেশন থেকে শুরু করে কার্যালয়ে রাতযাপন করতেন। ধীরে ধীরে নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হয়ে তিনি সংগঠনের পদ অর্জন করেন। তবে সংগঠনের নীতি-নৈতিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
৭ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসকেন্দার জনি তার ২৭ মিনিটের বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করার হুমকিও দিয়েছেন।
যুবদল নেতারা জনির বক্তব্যকে ‘উন্মাদনার প্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, বহিষ্কারের পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে মনে করছেন তারা।
এসকেন্দার জনির এই ভিত্তিহীন অভিযোগ যশোরের রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করলেও অধিকাংশ নেতাই এটি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার এই আচরণ দল ও রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতি তার অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাতদিন ডেস্ক