যশোরে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের কক্ষ পরিদর্শকের কাছে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। রোববার কলেজে পরীক্ষা চলাকালে ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসার কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছ থেকে ঐ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ এম ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীন পরীড়্গা কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেন্দ্রের কয়েক জন শিক্ষার্থীকে সহযোগীতা করছিলেন। তার এ কাজে সহযোগীতার করেছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের আর এক শিক্ষক সালাহউদ্দীন মাহমুদ। এ ঘটনা কলেজে জানাজানি হলে কলেজে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ ও সূত্রে জানায়, রোববার ডা.আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ৩০৭ নং কক্ষে কর্তব্য পালন করছিলেন কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীন ও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দীন মাহমুদ। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে তরফদার কায়ছার পারভীন পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষের পাশের রুমে গিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে প্রশ্নপত্র পাঠানোসহ কক্ষের শিক্ষার্থীদের সহযোগীতার চেষ্টা করেন। এই সময় কলেজে ভিজিলেন্স টিমের সদস্যরা ও ট্যাগ অফিসার ঐ কক্ষে পরিদর্শনে যান। তখন তরফদার কায়ছার পারভীনের এমন কর্মকান্ড দেখে হাতে নাতে ধরে কেন্দ্রের সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ এম ইকবাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ এম ইকবাল হোসেন বলেন, তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসারের নিদের্শনা অনুযায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীনের ০১৭১২৫১৫৬৮২ নাম্বারে সন্ধ্যায় ফোন করলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
শিক্ষা বোর্ডের ভিজিলেন্স টিমের সদস্য মোহাম্মাদ আতিয়ার রহমান জানান, কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে কর্তব্যরত শিক্ষক তরফদার কায়ছার পারভীনের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। পরে কেন্দ্রের সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ