যশোরে একটি অস্ত্র মামলায় দুইটি ধারায় এক ব্যক্তির ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একটি মাদক মামলায় আরেক ব্যক্তির পাঁচ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, অস্ত্র মামলায় যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মাদক মামলায় শার্শা উপজেলার সোনানদীয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইমাদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়ার জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক রায়ে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পিপি শ্যামল কুমার মজুমদার।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাত চারটায় কোতোয়ালি থানার এসআই সোয়েব উদ্দিন শহরের প্রানকেন্দ্র দড়াটানা থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে। সেসময় আরেকজন পালিয়ে যায়। এসময় জাহাঙ্গীরের কাছথেকে একটি বিদেশী রিভালবার ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সোয়েব আটক জাহাঙ্গীর ও ঘোপ বাবলাতলার এলাকার নবাব আলীর ছেলে সোহাগ ওরফে জেলে সোহাগকে পলাতক আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই কবির হোসেন দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষনা দিনে বিচারক জাহাঙ্গীরকে পৃথক দুইটি ধারায় একটি ১০ বছর ও অপরটিতে আরও সাতবছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই সাথে এ মামলা থেকে সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন।
এছাড়া, ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শার্শার গোড়পাড়া ক্যাম্প এলাকা থেকে শার্শা থানা পুলিশের হাতে আটক হয় ইমাদুল ইসলাম। এসময় তার কাছথেকে ১শ’পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় এসআই বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষনার দিনে বিচারক ইমাদুলকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বিচারক দুই আসামির উপস্থিতিতেই এ সাজাপ্রদান করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।