Saturday, December 7, 2024

মণিরামপুরে কবিরাজের ঝাঁড়ফুক দেয়ার নামে দুইবোনকে ধর্ষণ চেষ্টা!

যশোরের মণিরামপুরে কথিত কবিরাজ আবু দাউদ (৫০) কর্তৃক ঋষিপল্লির দু’ তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৩ ও ১৭ বছর। তরুণীদের বাবা ও মা ভিক্ষা করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত দাউদ যশোর সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। ইত্যা স্কুলের পাশের কলোনিপাড়ায় বর্তমানে তিনি তার শ্বশুর আব্দুল আজিজের বাড়িতে বসবাস করেন। তার পেশা ঝাড়ফুঁক দেয়া। ঘটনার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটার পর রাতে বিয়ষটি মিটিয়ে ফেলার জন্যে স্থানীয়ভাবে শালিসের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, কোনো সমাধান না হওয়ায় এক পক্ষ পুলিশে খবর দেয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিক্ষুক দম্পতি ও তাদের দু’মেয়েকে থানায় নিয়ে আসে। রোববার সকালে তরুণীদের মা এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তরুণীদের মা জানিয়েছেন, চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট তিন মেয়ে বাড়িতে থাকে। এদের মধ্যে মেঝো মেয়ে অসুস্থ। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে তিনি ও তার স্বামী ভিক্ষা করতে বের হয়ে যান। সকাল ১১টার দিকে দাউদ কবিরাজ মেঝো মেয়েকে ঝাড়ফুঁক দেয়ার নাম করে তাদের বাড়িতে আসে। সে সেজো মেয়েকে দশ টাকা দিয়ে কিছু আনতে দোকানে পাঠিয়ে মেঝো মেয়েকে মুখ বেঁধে খারাপ কাজ করে। সেজো মেয়ে দোকান থেকে ফিরে আসলে দাউদ তার শরীরেও হাত দেয়। কাশিমনগর ইউনিয়নের মেম্বর দিখিল দাস বলেন, দাউদ ওই মেয়েকে (মেঝো) ঝাড়ফুঁক দিতে ওই বাড়িতে যায়। এরই মাঝে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছি বলে শনিবার বিকেলে মেয়েদের মা তার কাছে জানালে তিনি চেয়ারম্যানকে তা অবহিত করেন।চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, মেম্বর ও গ্রাম পুলিশ দাউদকে ধরতে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সে ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ওই মেয়ে দু’টো ও তাদের বাবা-মাকে থানায় নিয়ে যায়। মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে দাউদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভিকটিমদের মা। দাউদ পলাতক রয়েছে। তবে, তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

রাতদিন সংবাদ

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর