Saturday, December 7, 2024

মণিরামপুরে গাছের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান লাঞ্চিত, আহত ৩

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর (যশোর): যশোরের মণিরামপুরে শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে যুবলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে তিনি দাবি করেছেন।আহতরা হলেন, মণিরামপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সন্দ্বীপ ঘোষ, চেয়ারম্যান নাজম খানমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রলীগ নেতা সবুজ কর। এমনকি টেন্ডারে অংশ নিতে আসা দু’জনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের এমন কর্মকর্তারা বলেন তাদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ সময় ঘটনাস্থলের কয়েক গজ দূরে অবস্থান করা পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের প্রথমে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিসান জানান, আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চালুয়াহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পান্না খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ৩৭টি গাছের টেন্ডার ডাকা হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার শর্মা বলেন, বিদ্যালয়ের সীমনা প্রাচীর নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এ কারণে মেহগনিসহ ৩৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে মোতাবেক দু’ লাখ ৭৫ হাজার পাঁচশ’ টাকা ভিত্তি মূল্য ধরে সকাল ১১ টার দিকে ওই বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকা হয়। নিলামস্থলে কিছু ঘটেনি দাবি করে তিনি বলেন, স্কুলের বাইরে কিছু ঘটেছে কিনা তার জানা নেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, তারা নিলাম কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় বাইরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, নিলামে অংশ নিতে একাধিকবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসাথে বলা হয়, কেউ বাধা দিলে সাথে সাথে প্রশাসনকে অবহিত করতে। কিন্তু কেউ কিছু জানায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম জানান, নিলামে অংশ নিতে গেলে যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আইয়ুব পাটোয়ারি, আলমগীর হোসেন, পান্না, জিয়াসহ যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী তাদের বাধা দেন। ওই সময় তারা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সন্দ্বীপ ঘোষ, তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রলীগ নেতা সবুজ করের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। কয়েক গজ দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এক পর্যায় তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। তার শাড়ি ধরে টানাটানি করে যুবলীগের কয়েকজন নেতা।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর