আসন্ন আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে আটটার পর পতেঙ্গালী আমতলা মোড়ে। আহতরা হলেন, পতেঙ্গালী গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও রঘুরামপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে বিপুল রহমান। আহতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুজ্জামান শহিদের কর্মী। অভিযোগ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের কর্মীরা প্রকাশ্যেই এ হামলা চালিয়েছে।
হাসপাতালে কর্মীদের দেখতে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, শুক্রবার নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা ওই দুইজনেক হুমকি দিয়ে শহীদের পক্ষে কাজ না করার জন্য বলেন। কিন্তু তার পরেও শনিবার তারা দুইজন শান্তিপূর্নভাবে ভোটারদের বাড়িবাড়ি ভোট চেয়ে ওই মোড়ের চায়ের দোকানে এসে বসেন । এমন সময় নৌকার প্রার্থী শাহারুল ইসলামের কর্মী লালু, রিপন সলেমানসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন তার কর্মীদের উপর রড, বাশেরলাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় ওই দুইজন মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানান ও নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, সেমসয় তার একটি বিশাল নৌকার মিছিল যাচ্ছিল। এমন সময় ওই দোকানথেকে শাহারুলকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তার এক কর্মী তাদেরকে ডেকে বিষয়টির প্রতিবাদ করেছে। হামলা চালায়নি। তিনি আরও বলেন, শহিদের লোকজনের জন্য তার কর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মঙ্গলগাতি ইসরাফিল ও পারভিনতে হুমকি দিয়েছে শহীদ। আজিজুল মেম্বর ও সুজলপুরের মকবুল প্রকাশ্যে তার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। তিনিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত পহেলা জানুয়ারি নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর আরশাদ আলী রহমান দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। ৫ মাসের মাথায় ১৩ জুন তিনি মৃত্যুবরন করলে এই আসনটি শুন্য হয়ে যায়।
আগামি ২ নভেম্বর ইভিএমএ অনুষ্ঠিত হবে এই উপ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শাহারুল ও শহীদ ছাড়াও আসাদুজ্জামান খোকন “চশমা’ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি